জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারে আগাম জাতের তরমুজ আসতে শুরু করেছে। রমজান শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগে থেকে স্থানীয় ফল ব্যবসায়ীরা তরমুজ আমদানি শুরু করেছেন। মূল্য বেশি হওয়ায় তরমুজ কেনা-বেচার ভিড় তেমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তরমুজ প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজান উপলক্ষে তরমুজের চড়া দাম নিয়ে ক্রেতারা অভিযোগ করছেন। তবে একজন ফল ব্যবসায়ী জানান, সদ্য আমদানি হওয়া তরমুজের দাম অন্য বছরের তুলনায় এ বছর মুকামে অনেক বেশি। তারপর রমজান মাস চলছে। তাই তরমুজের চাহিদাও বেড়েছে। রমজানের পর তরমুজের এই দাম নাও থাকতে পারে। তরমুজ চাষ সাধারণত ডিসেম্বর মাসে শুরু হয়। এপ্রিল এবং মে মাসে তরমুজের শীর্ষ মৌসুম। তবে বাজারে যেসব তরমুজ আবির্ভূত হয়েছে সেগুলি প্রাথমিক জাতের। এগুলো আকারে বেশ ছোট। বর্তমানে, তরমুজ প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় খুচরা বিক্রি হচ্ছে। তরমুজের দাম বেশি হওয়ায় বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও কম বাজারে তরমুজ এলেও দাম চড়া। ছোট তরমুজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দামের কারণে অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ তরমুজ কিনতে পারছেন না। তরমুজের গুণাগুণ সম্পর্কে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আলাপকালে জানান, তরমুজ ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এই গ্রীষ্মকালীন ফলের রস আমাদের ত্বকের পানিশূন্যতা দূর করে। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ.বি এবং সি থাকে। এতে কোলাজেন নামক একটি উপাদানও থাকে যা মানবদেহে ত্বকের সংকোচন রোধ করে। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে তরমুজ ত্বকের স্ক্রাবার হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। তরমুজের রসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে।