গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জের মেসার্স জেএফ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মোঃ মাসুদুর রহমান পাওনা টাকার দাবীতে ট্রান্সকম বেভারেজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। বুধবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাসুদুর রহমান বলেন, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে ট্রান্সকম বেভারেজের নিকট থেকে জেএফ এন্টারপ্রাইজ ডিলারশীপের মাধ্যমে ব্যাবসা শুরু করে। এরপর থেকে ২০ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত ব্যবসা চলমান ছিল। মাসুদুর রহমান বলেন, ব্যবসা চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ে ট্রান্সকম বেভারেজের নিকট প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা পাওনাদার হই। এসময় কোম্পানির রিজিওনাল ম্যানেজার ছিল মোঃ মাকসুদুল হক। তার সময় ২৩ লক্ষ টাকার পণ্য প্রদানের মাধ্যমে আমার পাওনার আংশিক পরিশোধ করে। বাকি ১৫ লক্ষ টাকা পরবর্তীতে পরিশোধ করবে মর্মে আমাকে আশ্বস্ত করে। কিন্তু পরবর্তীতে মাকসুদুল হক বদলী হয়ে অন্যত্র চলে গেলে হাসান মুনছুর নামে একজন একই পদে যোগদান করার পর থেকে তিনি আমার পাওনা টাকা পরিশোধে গড়িমসি করতে থাকেন। টালবাহানার এক পর্যায়ে আমি বগুড়া ডিপো অফিসে গিয়ে পাওনা টাকার কথা বললে হাসান মুনছুর আমার নিকট ২লক্ষ ১৫ হাজার টাকা দাবি করে। আমি উক্ত টাকা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এব্যাপারে আমি গোবিন্দগঞ্জ থানায় হাসান মুনছুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি গত মঙ্গলবার। মাসুদুর রহমান সাংবাদ সম্মেলনে পাওনা ১৫ লক্ষ টাকা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিশোধের জন্য ট্রান্সকম বেভারেজ লিমিটেডের নিকট জোর দাবী জানান। সেইসাথে হাসান মুনসুরের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলন জে এফ এন্টারপ্রাইজের পার্সেজ ম্যানেজার শফিউজ্জামান শীতল উপস্থিত ছিলেন।