গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নাটোরের বাগাতিপাড়ার একটি পৌরসভা ও পাঁচ ইউনিয়নের হাট-বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কয়েক দফায় বেড়েছে। ফলে এ অঞ্চলের নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষদের পক্ষে কাঁচা মরিচ কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এদিকে মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার মনিটরিংয়ের জন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয় ক্রেতারা। এক, দুই সপ্তাহে আগেও উপজেলার মালঞ্চী, বিহাড়কোল, ছাতিয়ানতলা, তমালতলা, দয়ারামপুর, লোকমানপুর, জামনগর বাজারসহ উপজেলার অধিকাংশ হাট-বাজারে এক কেজি কাঁচা মরিচ ১০০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে ২২০-২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার সোনাপাতিল এলাকার ভ্যানচালক আব্দুর রশিদ ও আমিন উদ্দিন জানান, মালঞ্চীবাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে গিয়ে দাম বেশি হওয়ায় কিনতে পারিনি। পরে বিকল্প হিসেবে শুকনো মরিচ কিনেছি। উপজেলার মালঞ্চী রেলগেটের শরিফ ও দয়ারামপুর সিনেমা হলের সামনে মুড়ি বিক্রেতা নারায়ন চন্দ্র জানান, কাঁচা মরিচের দাম অতিরিক্ত বেড়ে ২২০-২৪০ টাকা, হওয়াতে আগে ২ থেকে ৩ কেজি নিতাম কিন্তু এখন আধা কেজি থেকে এক কেজি দিয়েই চালাই নিচ্ছি। দয়ারামপুর বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী রুপ চাঁদ ও মাবুল বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচের আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। আমাদের এই এলাকায় মরিচ কম হওয়ায়,এই মরিচ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে। আমরা ১ হাজার টাকায় ৫ কেজি মরিচ কিনে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছি। এখন আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে। আমদানি বাড়লে দাম ঠিক হয়ে যাবে বলে দাবি করেন তারা। কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ‘ক্যাব’ উপজেলা শাখার সেক্রেটারী আরিফুল ইসলাম তপু বলেন,আগে দেখতাম এসময় ফসলী জমি ডুবে গিয়ে বন্যার সৃষ্টি হতো ফলে তার প্রভাব পড়ত, তখন দাম বাড়ত কিন্তু এখন তো দাম বৃদ্ধি এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই দাম নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি চাষী, ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতন ও মানবিক হওয়ার আহবান জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী আফিসার নীলুফা সরকার জানান, কোনো ব্যবসায়ী যদি বাজারে কাঁচা মরিচের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন বা দাম বাড়ান তাহলে, তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।