নাটোর বড়াইগ্রামের রােেমশ্বরপুর উচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রতারনায় সর্বশাত্ম হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। চাকরি দেওয়ার নাম করে হাতিয় নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। তাছাড়া এলাকার বিভিন প্রকল্পের টাকা লুটেরও অভিযাগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। টাকা চাইতে গিয়ে মারধোর আর পিটুনির শিকার হয়েছেন নিঃস্ব এই মানুষগুলো। এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে থানায় অন্তত ৭টি অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
বড়াইগ্রামের রয়না ভরট এলাকার প্রতিবন্ধি শফিকুল ইসলাম। এভাবই মাটিতে হাত দিয়ে চলাফরা করেন তিনি। অভাব তার নিত্যসঙ্গী। ছেলে আল আমিন কে রামেশ্বরপুর উচ বিদ্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে পরিছন্ন কর্মী পদ আবেদন করিয়েছিলেন। ওই প্রধান শিক্ষক সারোয়ার হোসেন পিঞ্জু সরকার চাকরির জন্য দাবী করেন সাড় ৬ লাখ টাকা। প্রতিবন্ধি শফিকুল ইসলাম নিজের বাড়ি এবং জমি বন্ধক রেখে সাড়ে ৫ লাখ টাকাও পরিশোধ করেন। কিন্তু ছেলে আল আমিনের চাকরি তো দুরের কথা প্রধান শিক্ষকের প্রতারনার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব পরিবারটি। পরিবারের পক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলনের ব্যবস্থাও করা হয়। শুধু প্রতিবন্ধি আল আমিন নয়। প্রধান শিক্ষক পিঞ্জু সরকারের প্রতারনায় সর্বশাত্ম হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। চাকরির প্রলোভনে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। টাকা ফেরত চাইলে মারপিটের শিকার হচ্ছেন নিঃস্ব মানুষগুলো। এদিকে, থানায় অভিযোগ করেও মিলছেনা কোন প্রতিকার। তারপরও এই প্রধান শিক্ষকের দাবী, তার ভাবমুর্তি নস্ট করার জন্য প্রতিপক্ষরা এমন অভিযোগ করছে। এদিকে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাটোর তারেক যুবায়ের বলেন, অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুধু আশ্বাস নয়, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে নিঃস্ব মানুষগুলোর টাকা ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভুগিরা।