1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে সভা- চাঁপাইনবাবগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে নিয়ে জেলা নাটাবের মতবিনিময় - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস পালিত জেলার শিবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইস্তেসকার নামাজ আদায় দাবদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন ॥ আরও বাড়তে পারে দিনের তাপমাত্রা নির্বাচনে জনগণের রায়ের প্রতিফলন হবে না… গোমস্তাপুরে যুবলীগ নেতা টাইগারের মন্তব্য গোমস্তাপুরে বিভিন্ন কর্মসূচিতে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ইতিহাসে ভয়াবহ রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১১ বছর ॥ বিচার না পেয়ে হতাশা চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন বিপুল টাকাসহ পাবনা পাউবোর দুই প্রকৌশলী আটক ॥ ঠিকাদার পলাতক! রহনপুরে সহকারী অধ্যাপক মোঃ মোহসিন আলীর বিদায় সংবর্ধনা ট্রেনে কাটা পড়ে ইজিবাইক এর ২ যাত্রীর মৃত্যু

যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে সভা- চাঁপাইনবাবগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে নিয়ে জেলা নাটাবের মতবিনিময়

♦ নিজস্ব প্রতিনিধি 
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২২
  • ১৫৯ বার পঠিত

যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে সভা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে নিয়ে জেলা নাটাবের মতবিনিময়

জাতির সূর্যসন্তান জেলার বীরমুক্তিযোদ্ধাগণকে নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা। ‘যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে’ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের কাঁঠাল বাগিচাস্থ শিশু শিক্ষা নিকতন মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা হয়। নাটাবের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিম উদ দৌলা চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এম এ মাতিন। আলোচক ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ তৌহিদুল ইসলাম।

বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের প্রোগাম অরগানাইজার আবুল কালাম আজাদ, নাটাবের রাজশাহী জোনের মাঠ কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও সভা সঞ্চালনা করেন নাটাব চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য ও শিশু শিক্ষা নিকতনের অধ্যক্ষ মো. আনিসুর রহমান। সভায় যক্ষ্মা রোগের করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন এনজিও প্রতিনিধিরা। মতবিনিময় সভায় জেলার বিভিন্ন স্থানের ৩০জন বীর মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন। বক্তারা, যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে জেলার বীরমুক্তিযোদ্ধাগণের প্রতি বিশেষ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সমাজের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। সামাজিকভাবে সচেতনতার মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলেও মতামত ব্যক্ত করেন আলোচকগণ ও নাটাব নেতৃবৃন্দ। সভায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবাবের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত এবং জেলা নাটাবের সম্পাদক ইকবাল মনোয়ার খান চান্না’র সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়। আলোচকগণ ও বক্তারা বলেন, যক্ষ্মা রোগ শুধু মানুষের ফুসফুসেই হয়না, হাড়েও হয়। হাড়ে যক্ষ্মা রোগ প্রায় ৪০ থেকে ৪২ শতাংশ হয়। ৫০% লোকের মেরুদন্ডে এই রোগ হয়। ফলে আক্রান্ত রোগী সামনে বা পেছনের দিকে বাঁকিয়ে যায়। আক্রান্ত হলে হাঁটুতে এবং পায়ের গোড়ালীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসা নিলে সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

যক্ষ্মা রোগীকে সঠিকভাবে ঔষধ সেবনের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এতে ডটস উল্লেখযোগ্যভাবে ভূমিকার রাখে। বক্তারা আরও বলেন, একটানা ৩ সপ্তাহের বেশী কাঁশি হলে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিতে হবে। হাঁচি ও কাঁশির মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগ সংক্রমন হয় এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যাওয়া মানুষদের আক্রান্ত করে ফেলে। সাধারণতঃ রোগ প্রতিরোধ কমে মানুষরা এই রোগে বেশী আক্রান্ত হয়। যক্ষ্মা রোগ দেখা দিলে নিয়মিত, পরিমিত ও ক্রমাগত এবং সঠিকভাবে ঔষধ সেবন করাতে হবে। সমাজ থেকে এই রোগ প্রতিরোধে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে। মানুষের সচেতনতায় পারে কঠিন রোগ যক্ষ্মা থেকে সমাজ তথা দেশকে রক্ষা করতে। মানুষের নখ ও চুল ছাড়া সব স্থানেই যক্ষ্মা রোগ হতে পারে। তাই সমস্যা হলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিবি ক্লিনিকে আধুনিক মেশিনে মাত্র ১ ঘন্টায় যক্ষ্মা রোগ পরীক্ষা করা যায় এবং ফলাফল দেয়া হয়। কোন মানুষকে সন্দেহ হলেই টিবি ক্লিনিকে পাঠিয়ে পরীক্ষা করে নেয়ার অনুরোধ জানান বক্তারা। বক্তারা আরও বলেন, ডটস্ এর মাধ্যমে সমাজের প্রতিনিধির তত্বাবধানে যক্ষ্মা রোগীকে সঠিকভাবে ঔষধ খাওয়ানো হচ্ছে।

দীর্ঘদিন চিকিৎসার সেবা নিয়ে ঔষধ সেবন করলে যক্ষ্মা ভালো হয়। নিয়মিত ও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চিকিৎসা না নিলে পরিনতি ভয়াবহ যা এমডিআর রোগীর সংখ্যা বাড়বে বলেও বক্তারা বলেন। নাটাব যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের সুস্থ করে তোলার ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সামাজিক কূসংস্কার, অজ্ঞতা, অবহেলা, অর্থনৈতিক সংকট ও তথ্যের অভাবে যক্ষ্মা রোগীরা চিকিৎসা কেন্দ্রে যেতে চান না, চিকিৎসা নিলেও নিয়মিত ওষুধ সেবন এবং পূর্ণ সময় চিকিৎসাও গ্রহণ করেন না। নাটাব সরবারের ডটস্ কর্মসূচির অংশীদার হিসেবে রোগীদের চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতন করে তোলার ব্যাপারে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে আসছে। এর আগেও জেলা নাটাবের উদ্যোগে ইমাম, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী, সাংবাদিক, ক্রীড়া সংগঠক, সাংস্কৃতিক কর্মী, এনজিও কর্মী, সুশীল সমাজ, পরিবহন শ্রমিক ও রিক্সাচালকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছে। বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর জন্ম হয় ১৯৪৮ সালে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী যক্ষèা রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনার মাধ্যমে কাজ করে আসছে নাটাব।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!