পাবনা হেযবুত তওহীদ কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে সুজন নামের এক কর্মীকে খুন ও দশজন কে গুরুতর আহত করার বিচারের দাবিতে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ শরিফুল ইসলাম কে স্মারকলিপি প্রদান করেছে জয়পুরহাট জেলা হেযবুত তওহীদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে হেযবুত তওহীদের জয়পুরহাট জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও বিক্ষোভ শেষে জেলা হেযবুত তওহীদের নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জয়পুরহাট জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মোঃ মাসুদ রানা চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ টিটু আহম্মেদ, জেলা রাজনৈতিক যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ সরদার, সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক জামাল উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মোঃ আসাদুজ্জামান মুকুল আক্কেলপুর উপজেলা সভাপতি গাজিউল ইসলাম প্রমুখ। স্মারকলীপিতে বলা হয়, পাবনা শহরের চরঘোষপুর ৮ নং ওয়ার্ডের ভাটামোড়ে অবস্থিত হেযবুত তওহীদের কার্যালয়ে গত ২৩ আগষ্ট (মঙ্গলবার) রাত আটটায় জেলা সভাপতি সেলিম শেখ আন্দোলনের ১৫/১৬ জন সদস্যকে নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করছিলেন। হঠাৎ করে হেযবুত তওহীদের আস্তানা ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, খ্রিষ্টানের আস্তানা ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ শ্লোগান দিতে দিতে কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে একদল সশস্ত্র হামলাকারী সন্ত্রাসি। তাদের হাতে ছিল ধারালো চাপাতি, হাঁসুয়া, রাম দা, লাঠিসোটা, জিআই পাইপ, লোহার রড ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। কোনো কথা না বলে তারা বৈঠকে উপস্থিত সবার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দশজন সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হন যাদের একজন পরবর্তীতে মারা যান। রাতেই দুজনকে জরুরি চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে মো. সুজন (৩৩) রাত আড়াইটায় মারা যান এবং গুরুতর আহত আমিনুল ইসলাম (২৭) সেখানে আইসিইউ-তে রয়েছেন, যার অবস্থা অত্যান্ত সংকটজনক। পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আলামিন শেখ (২৭) ও সেলিম শেখ (৪১) সহ অন্য ছয়জন। কার্যালয়ে প্রবেশকারী হামলাকারীদের সংখ্যা প্রায় ৪০/৫০ জনের মত ছিল। তবে কার্যালয়ের বাইরেও আরো অনেক সন্ত্রাসী অবস্থান করছিল। হেযবুত তওহীদের সদস্যরা তৎক্ষণাৎ পাবনা সদর থানায় ফোন করে পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম পৌঁছাতে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা লেগে যায়। পুলিশ পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। জেলা সভাপতি সেলিম শেখ বাদি হয়ে চিহ্নিত ১৪ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে রাতেই মামলা দায়ের করেন। হেযবুত তওহীদ যেহেতু, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মব্যবসার বিরুদ্ধে সোচ্চার, তাই বেশকিছুদিন থেকেই তারা উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের একটি হামলার ষড়যন্ত্রের আভাস পেয়েছিলো।