চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর। শুক্রবার বেলা ১১ টায় কমিউটার ট্রেনযোগে সফরসঙ্গীদের সাথে নিয়ে রহনপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসেন তিনি। এরপর রহনপুর রেলওয়ে স্টেশন পাশর্^বর্তী এলাকা ঘুরে দেখেন এবং রহনপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে চা চক্রে মিলিত হন। রেলওয়ে সচিবের সফর সঙ্গী ছিলেন, জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সি.ও.পি.এস মোঃ আহসানুল্লাহ ভুঁইয়া, সি.এম.ই মোঃ কুদরত-ই-খুদা, সি.এস.টি মোঃ মিজানুর রহমান, সি.ই.ও মোঃ রেজাউল করিম, ডি.আর.এম পাকশি শাহ সূফি নূর মোহাম্মদ, ডি.ই.ও পাকশি মোঃ নূরুজ্জামান প্রমূখ।
এসময় গোমস্তাপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আসমা খাতুন, শিবগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আবুল হায়াত, রহনপুর পৌর মেয়র আলহাজ¦ মতিউর রহমান খান, জেলা মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক মোসাঃ হালিমা বেগম, স্থানীয় ব্যবসায়ীরাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের নেতৃবৃন্দ সচিব মহোদয়কে ফুলের তোড়া দিয়ে সম্ভাষণ জানান এবং তাদের দাবি দাওয়া সম্বলিত তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। এছাড়া রহনপুর স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সি.ও.পি.এস মোঃ আহসানুল্লাহ ভুঁইয়া জানান, রহনপুরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি রহনপুর রেলওয়ে বন্দর, আন্তঃনগর ট্রেন, লোকাল ট্রেন ও রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী ট্রেন সমূহে টিকিটের ব্যবস্থাসহ অন্যান্য দাবি সমূহ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের জন্য সরকারের উচ্চ মহলে বিবেচনায় রয়েছে। রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠা বাসাবাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বধ্যভূমির পাশে অবস্থিত পতিতাপল্লী উচ্ছেদের বিষয়ে তিনি বলেন, সকলের সহযোগিতা পেলে সবকিছুই বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, ইতিপূর্বে পত্র-পত্রিকায় রহনপুর রেলওয়ের জমিতে অবৈধ স্থাপনা, অসামাজিক কার্যকলাপসহ বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হলে এ সম্পর্কে সচিব মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সবকিছুই আমাদের জানা আছে। সাংবাদিকদের আরো বেশী বেশী করে সংবাদ প্রকাশ করে রহনপুর রেলওয়ের উন্নয়নে সার্বিক চিত্র তুলে ধরার জন্য আহবান জানান তিনি।