1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঁচ দফা দাবি "কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর" ফোরামের - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন

প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঁচ দফা দাবি “কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর” ফোরামের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২
  • ১৩৬০ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঁচ দফা দাবি কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ফোরামের

 

মাধ্যমিক পর্যায়ে “কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর” পদের কাজের সু-নির্দিষ্ট নীতিমালা ও বেতন গ্রেড উন্নয়নের লক্ষ্যে পাঁচ দফা দাবিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি হস্তান্তর করেছে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ফোরাম।

শনিবার এই স্মারকলিপি প্রদান করেন কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ফোরামের সভাপতি সেকেন্দার আলম সুমন, ফোরামের সাঃ সম্পাদক জিয়াউল হাসান, সাংগনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর নেতৃবৃন্দ।

এসময় প্রতিমন্ত্রী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আপনার যে দাবীগুলো করেছেন যে গুলো যৌক্তিক হলে আমি এগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছায় দিব।

এর আগে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ফোরামের সভাপতি মোঃ সেকেন্দার আলম সুমন প্রতিমন্ত্রীর কাছে পদবী কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও দশম গ্রেড করার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন এবং কম্পিউটার ল্যাব অপারেটরগণের পক্ষ হতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।

দাবি গুলো হলো, পদবী পরিবর্তন করে কম্পিউটার ল্যাব ইন্সট্রাক্টর করা, কাজের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন, বেতন গ্রেড ডিপ্লোমা প্রকৌশলী গনের ১০ম গ্রেড করা, আইসিটি সহ বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি/সমমান পাস কৃতদের প্রয়োজনে উচ্চ ডিগ্রী অর্জনের সুযোগ দিয়ে ১০ম গ্রেডে পদায়ন করা এবং নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ফোরামের সভাপতি সেকেন্দার আলম সুমন বলেন, এই সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। যার স্বীকৃতি স্বরূপ আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আখ্যায়িত করা হয়েছে “মাদার অফ হিউম্যানিটি” হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে তা অবিস্মরণীয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথমে বিসিসি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হলেও বর্তমান স্থাপন করা হচ্ছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব। প্রায় ৫০০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে বলে আমরা আশাবাদী। বর্তমানে আবার সমগ্র বাংলাদেশে ৩০০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হচ্ছে শেখ রাসেল স্কুল অফ ফিউচার। যেখানে রয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ মানের স্মার্ট বোর্ড, উইন্ডোজ ও এন্ড্রয়েড এই দুই সিস্টেমে অপারেট করা যায়।

তিনি বলেন, এ সমস্ত ডিজিটাল ডিভাইস প্রদান করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় মহোদয়ের প্রতি আমাদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক নিয়োগ করা হলেও তিনার একার পক্ষে ক্লাস নেওয়া এবং ব্যবহারিক শিক্ষা দেওয়া অনেক কঠিন। সে জন্য হয়তো এম.পি.ও নীতিমালা ২০১৮ ইং এ নবসৃষ্ট পদ হয় “কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর” এবং উক্ত পদে নিয়োগের আদেশ দেওয়া হয় ২০২০-২১ ইং অর্থবছরে।

তিনি আরও বলেন, আমরা কম্পিউটার ল্যাবে নিয়োগ প্রাপ্ত কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদ সৃষ্টি করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত সকল স্যার দের আন্তরিক ধন্যবাদ। ইতিমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর নিয়োগ করা হলেও ল্যাব পরিচালনার জন্য নেই কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। যার কারণে পদবী কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর হলেও অনেকে কম্পিউটার ল্যাব অপারেট করতে পারছেন না এবং অনেক প্রতিষ্ঠানে ল্যাবের কম্পিউটার সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে না যার কারণে হেলার নষ্ট হচ্ছে কোটি কোটি টাকার কম্পিউটার। কিছু প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটরদের কম্পিউটার টাইপিস্ট মনে করেন, তারপর ইচ্ছা মতকাজ। সারাদিন প্রতিষ্ঠানের নানান কাজের সাথে জড়িত থাকায় ল্যাব ঠিকমত অপারেট করা হয় না বা করতে দেন না। আমরা মনে করি যেহেতু বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চান দেশকে ডিজিটাল করতে। সেজন্য শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (ভাষা ল্যাব) পরিচালনার জন্য প্রয়োজন সু-স্পষ্ট নীতিমালা। তাই আমরা ল্যাব পরিচালনার জন্য দ্রুত নীতিমালা চাই।

সেকেন্দার আলম সুমন বলেন, আমাদের পদে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা প্রকৌশলী নিয়োগ করা হলেও বেতনের বৈষম্য রয়েছে ব্যাপক। দেশকে ডিজিটাল করতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী গণের ভূমিকা অনেক। ডিপ্লোমাদের বেতন ভাতা নিরসনের জন্য ১৯/১১/১৯৯৪ খ্রিঃ সালে একই নম্বর ও তারিখের পদোন্নতি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী নিয়োগ করা হলে দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদার কথা বা বর্তমানে ১০ম গ্রেডে কথা উল্লেখ করেন। অথচ এই পদে বেতন দেওয়া হয় মাত্র ১৬ গ্রেড। যেটা বর্তমান সময় সত্যি বেমানান। নিয়োগের নীতিমালায় আছে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে তিন বছর কম্পিউটার বিষয়ে ডিপ্লোমা /সমমান অথবা আইসিটি সহ বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি/সমমান। সমমান দের ক্ষেত্রে ৬ মাস মেয়াদী কম্পিউটার ডিপ্লোমা দের অগ্রাধিকার। বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পাসকৃতদের প্রয়োজনে উচ্চ ডিগ্রী অর্জনের সুযোগ দিয়ে ১০ম গ্রেডে পদায়ন করার অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

One thought on "প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঁচ দফা দাবি “কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর” ফোরামের"

  1. রিয়াজ উদ্দিন তুহিন says:

    ধন্যবাদ 😍

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!