জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভার হাস্তাবসন্তপুর গ্রামের প্রামাণিক পাড়ায় পা নেই এমন একটি গরুর বাছুরের জন্ম হয়েছে। পা ছাড়ায় জন্ম নেয়া গরুর বাছুরটিকে একনজর দেখতে ওই কৃষকের বাড়িতে ভীড় জমাচ্ছেন এলাকাবাসী। চতুস্পদী প্রাণির চারটি পা, সেটাই স্বাভাবিক। সে কারনেই তাঁরা চতুস্পদী প্রাণি। চার পায়ের মধ্যে একটিও নেই এমন এক বোকনা বাছুরের জন্ম হয়েছে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের হাস্তাবসন্তপুর গ্রামের প্রামাণিক মহল্লায়। ওই মহল্লার নাজিম উদ্দিন প্রামাণিকের বাড়িতে পা বিহীন ওই বাছুরের জন্ম হয়। নাজিম উদ্দিন প্রামাণিকের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় আশ পাশের লোকজন বাড়িটিতে গিয়ে ওই বাছুর দেখতে ভীড় করছেন। বাড়ির মালিক ও স্বজনেরা বাছুরটির মুখে গাভির সাল দুধ খাওয়াচ্ছেন। লাল রঙ্গের বাছুরটি চারটি পায়ের মধ্যে একটিও নেই। আবার লেজটুকুও খুবই ছোট আকৃতির। তবে নাক, চোঁখ, মুখ ও কান ঠিক রয়েছে। বাড়ির মালিক নাজিম উদ্দিন প্রামাণিক বলেন, বড় আকৃতির গাভির পেট থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পা বিহীন বাছুরটির রোববার দুপুর দেড়টার দিকে জন্ম হয়। আল্লাহ এত সুন্দর বাছুর দিয়েছেন, কিন্তু বাছুরটির কোন পা নেই। বর্তমানে বাছুরটি সুস্থ্য রয়েছে এবং খেতেও পারছে। বাছুরটি দেখতে বাড়িতে প্রচুর লোকজন এসে ভীড় করছে। স্থানীয় বাসিন্দা দোলন হোসেন বলেন, আমি শুনেছি দুই পা কিংবা পাঁচ পা ওয়ালা, দুই মাথা ওয়ালা বাছুর জন্ম হয় কিন্তু এই প্রথম জানলাম পা বিহীন কোন বাছুরের জন্ম হয়েছে। তাই বাছুরটি দেখতে এসেছি। স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গাভিটির বাচ্চা প্রসবের সময় বাড়ির মালিক আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। অনেক কষ্টে বাছুরটির জন্ম হয়। কিন্তু বোকনা ওই বাছুরের চারটি পায়ের মধ্যে একটিও নেই। বাছুরটির চোঁখ, নাক, মুখ কান সবকিছুই ঠিক রয়েছে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল ইসলাম বলেন, জন্মগত অস্বাভাবিকতা অথবা জীনগত সমস্যার কারনে এমনটি হয়ে থাকে। ওই জীনটির কোনো সমস্যা থাকায় ভ্রুণ অবস্থায় বাছুরটির পায়ের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটেনি। তাই পা বিহীন বাছুরটির জন্ম হয়েছে।