সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক বিশেষ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফার জানাজায় দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ঢল নামে। বর্তমান রাজশাহী-৫ আসন (সাবেক রাজশাহী-৪) পুঠিয়া-দুর্গাপুর তার নির্বাচনি এলাকার দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষসহ সর্বস্তরের মানুষ নাদিম মোস্তফার জানাজায় অংশ নেন। বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল রহমান চন্দন জানান, সোমবার (১ জুলাই) প্রয়াত বিএনপিনেতা নাদিম মোস্তফার নির্বাচনি এলাকায় তিনটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি জানাজায় জনতার ঢল নেমেছে। প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১০টায় দুর্গাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। দ্বিতীয় জানাজা বেলা ১১ টায় পুঠিয়া পিএন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এবং তৃতীয় জানাজা বেলা পৌণে ১২টায় বানেশ্বর কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। বাদ জোহর রাজশাহীর ঈদগাঁ মাঠে শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিএনপির কেন্দ্রীয়, রাজশাহী জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে সকালে রাজধানী ঢাকা থেকে নাদিম মোস্তফার মরদেহ সড়ক পথে তার নির্বাচনি এলাকায় নেওয়া হলে এক নজর দেখার জন্য নারী-পুরুষের ঢল নামে। নাদিম মোস্তফার জানাজায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদ্য কারামুক্ত আবু সাইয়িদ চাঁদ, জেলা বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা নাদিম মোস্তফা কেন্দ্রীয় বিএনপির বিশেষ সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। রাজশাহীর পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসন থেকে পরপর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন নাদিম মোস্তফা। ৬০ বছর বয়সে রোববার (৩০ জুন) বেলা ১১ টায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান নাদিম মোস্তফা। এরপর বিকেলে নাদিম মোস্তফার মরদেহ নেওয়া হয় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। সেখানে তার মরদেহ দলীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এরপর জানাজা শেষে তার রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও ফুল দিয়ে চিরবিদায় জানানো হয়। মৃত্যুকালে নাদিম মোস্তফা স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।