আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্র কমিটির উদ্যোগে ‘আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে’ শ্লোগানে ঢাকার শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে প্রতিবাদী সমাবেশ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সমাবেশে আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নকুল পাহানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ (জাপ)’র কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হেমব্রম, প্রচার সম্পাদক রামপ্রসাদ মাহাতো, আদিবাসী যুব পরিষদের সহ-সভাপতি নবদ্বীপ লাকড়া, জাপের কেন্দ্রীয় সদস্য বিভূতী ভূষণ মাহাতো, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সাবিত্রী হেমব্রম, সাধারণ সম্পাদক তরুন মুন্ডা, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল টুডু, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক দিলীপ পাহান, দপ্তর সম্পাদক পলাশ পাহান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রশান্ত মিনজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি কলাবতি মাহাতো, বগুড়া জেলা দপ্তর সম্পাদক সুুজন রবিদাস, পাবনা জেলা সদস্য অপূর্ব সিংসহ অন্যরা। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম (বিআরএফ)র সাধারণ সম্পাদক শিপন রবিদাস এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রবীন রবিদাস প্রমুখ। বক্তরা বলেন, এদেশে প্রায় ৫৪টির অধিক আদিবাসী জনগোষ্ঠী বসবাস করে। কিন্তু তাদেরকে সাংবিধানিকভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। আদিবাসীরা কখনো নিজেদের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে পরিচয় দেয় না। প্রতি বছর ৯ আগষ্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস বা আগষ্ট মাস আসতে না আসতে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে, যেন সরকার সংশ্লিষ্টরা আদিবাসী শব্দটি ব্যবহার না করে। এই প্রজ্ঞাপন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংবিধানের পরিপন্থী। আমরা এই প্রজ্ঞাপন মানি না। ৭১’র মুক্তিযুদ্ধে এদেশের আদিবাসীরা জীবন এবং রক্ত দিয়েছিল, সবার সাথে যুদ্ধ করেছিল। তাহলে আজকে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে কেন আদিবাসীদের অস্বীকার করা হচ্ছে। আদিবাসীদের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরীকে পরিনত করা হচ্ছে। আমরা আদিবাসীরা নিজেদেরকে আদিবাসী হিসেবেই পরিচয় দেব। সরকার যতই আমাদেরকে বৈষম্য করুক।