1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
দেশে সড়ক দূর্ঘটনায় প্রতিদিন ১৪ জনের মৃত্যু ॥ নিশচা’র প্রতিবেদন - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

দেশে সড়ক দূর্ঘটনায় প্রতিদিন ১৪ জনের মৃত্যু ॥ নিশচা’র প্রতিবেদন

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৯৬ বার পঠিত

দেশে সড়ক দূর্ঘটনায় প্রতিদিন ১৪ জনের মৃত্যু ॥ নিশচা’র প্রতিবেদন

দেশে সড়ক দূর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ১৪ জনের মৃত্যু হচ্ছে। এর মধ্যে দুই জনের বেশি মোটরসাইকেল চালক বা আরোহী। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সংগঠনের ১১ বছরের (২০১২ থেকে ২০২২) বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্যে জানা গেছে, ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সারা দেশে মোট ৩৭ হাজার ৮৪৭টি সড়ক দূর্ঘটনায় ৫৭ হাজার ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৮৭ হাজার ৬৬৭ জন। এ ছাড়া গত ৫ বছরে (২০১৮ থেকে ২০২২) সড়ক দূর্ঘটনায় পরিবহন চালকের মৃত্যুর আলাদা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিসচা। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ওই সময়ে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৩৩ জন চালক-শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মোট মৃত্যুর চার হাজার ৫৯৫ জন মোটরসাইকেল চালক বা আরোহী। এ ছাড়া বাসের চালক ও সহকারী রয়েছে ২১৬ জন, ট্রাকের চালক ও সহকারী ৩৯২ জন এবং কার-মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যানসহ অন্যান্য যানের এক হাজার ৮২০ জন চালক ও শ্রমিক মারা গেছেন।
নিসচার তথ্যে আরও জানায়, পাঁচ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় মৃত্যু বাড়ছে। ২০১৮ সালে যেখানে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৬০, সেখানে ২০২২ সালে এসে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬১৮। পাঁচ বছরে দূর্ঘটনায় ২১৬ জন বাসের চালক ও শ্রমিক মারা গেছেন। আবার বাসের চেয়ে ট্রাকে চালকের মৃত্যু বেশি। এই সময়ে ৩৯২ জন ট্রাকচালক ও শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে নানান ইউনিটে প্রতিবছর ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ থাকে। কিন্তু সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ে কোনো গবেষক বা বরাদ্দ নেই। চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনির্দিষ্ট করা দরকার। যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক যানবাহন আলাদা করা জরুরি। চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে এবং ই-ট্রাফিকিং সিস্টেম চালু হলে সড়কে দূর্ঘটনা ৮০ শতাংশ কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি। নিসচার চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, মোটরসাইকেল দূর্ঘটনার কারণগুলো সহজে বোঝা যায়। কিন্তু পণ্যবাহী ট্রাক তো এমনিতেই ধীরগতিতে চলে। এতে কেন এত মৃত্যু, সেটা নিয়ে আলাদা গবেষণা দরকার।
তবে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুর এই এক পরিসংখ্যানই যে চূড়ান্ত, তা কিন্তু নয়। দেশে একাধিক সংগঠন সড়ক দূর্ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা থেকে সড়ক দূর্ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। আর এক সংগঠনের পরিসংখ্যানের আরেক সংগঠনের পরিসংখ্যানের খুব একটা মিল পাওয়া যায় না। সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিরোধে তিনি সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা, পরিবহন মালিক, চালক, পথচারী ও সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!