ভাঙ্গা-মাওয়া-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের জন্য ১১ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৯২ লাখ ৪৯ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। ফরিদপুরে মোটর শ্রমিকদের টাকা আত্মসাতে আসামি আওয়ামীলীগের নেতারা ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি জুবায়ের জাকির, সাধারণ সম্পাদক গোলাম নাসির এবং ভাঙ্গা উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফাইজুর রহমান। ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের অধিগ্রহণকৃত জমির অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাওয়া ৮৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। মামলায় ইউনিয়নের তৎকালীন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। যারা সবাই আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতা। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক তারা বাদি হয়ে থানায় মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান। মামলায় আসামিরা হলেন, ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের (১০৫৫) তৎকালীন সভাপতি জুবায়ের জাকির, সাধারণ সম্পাদক গোলাম নাসির, ভাঙ্গা উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি আবুল কালাম মাতুব্বর ও সাধারণ সম্পাদক ফাইজুর রহমান। এর মধ্যে গোলাম নাসির শ্রমিক লীগের জেলা কমিটির সভাপতি, জুবায়ের জাকির শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি, ফাইজুর রহমান ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এবং আবুল কালাম মাতুব্বর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ভাঙ্গা-মাওয়া-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের জন্য ভাঙ্গার হাশামদিয়া মৌজার ১১ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ওই জমির উপরে অবস্থিত অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ বাবদ ফরিদপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের তৎকালীন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং ভাঙ্গা উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুকূলে ৯২ লাখ ৪৯ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। ওই চেক মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভাঙ্গা শাখার সোনালি ব্যাংক হিসাবে জমা করা হয়। পরে ২০২১ সালের ১৯ জুলাই সেই ব্যাংক হিসাব থেকে দুটি চেকের মাধ্যমে ৮৭ লাখ টাকা উত্তোলন করেন আসামিরা। কিন্তু মোটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় অবশ্যই কোষাধ্যক্ষ যুক্ত থাকবেন। তবে আসামিরা ওই টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে কোষাধ্যক্ষকে বাদ দিয়েই ওই ব্যাংক হিসাবটি পরিচালনা করেন।
তীব্র গণআন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর থেকে এই আসামিরাও আত্মগোপনে রয়েছেন। তারা পলাতক থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ও তাদের বক্তব্য জানা যায়নি। ওসি মোকসেদুর রহমান জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারসহ এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।