দেশের নারীমুক্তির অন্যতম পথিকৃৎ আজীবন আত্মত্যাগী বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক মনোয়ারা রহমানের ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ। শুক্রবার বিকেলে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা এবং সন্ধ্যায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে এ মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রয়াত ভাষাসৈনিকের সন্তান ও সংগঠন দুটির সভাপতি সাইদুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. আসলাম-উদ-দৌলার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধ প্রশান্ত কুমার সাহা। সভায় জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সহ: সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল বাদল, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সহ: সভাপতি আবু সালে মোহাম্মদ ফাত্তাহ, শিশু সংগঠক সুখেন মুখোপাধ্যায়, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সহ: সভাপতি সালাউদ্দিন মিন্টু, রাজশাহী বারের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট শিরাজী শওকত সালেহিন এলেন, মহিলা পরিষদের সভানেত্রী কল্পনা রায়, পাদুকা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শফিকুর রহমান রিপনসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। সভায় মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক ওয়ালিউর রহমান বাবু, রাজশাহী প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দিন, দৈনিক সংবাদের রিপোর্টার সুব্রত সরকার, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের প্রচার সম্পাদক আমানুল্লহ আমান, সিনিয়র সদস্য শরিফ উদ্দিন, সদস্য জামিল হোসেন জনি, আলামিন হোসেন, ইকবাল হাসান টাইগার, আব্দুল হাকিম রাজাসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের এই দিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দেশের মানবতাবাদী এ সমাজসেবী। তাঁর মৃত্যুর ২ ঘণ্টা পূর্বে বড় মেয়ে মাহফুজা রহমান পুতুল পাড়ি জমান পরপারে। বাংলাদেশের জাতীয় মুক্তি আন্দোলনে রাজশাহী তথা উত্তরাঞ্চলে বেগম মনোয়ারা রহমান একজন অনুসরণীয় নারীনেত্রী। রাজশাহীর প্রখ্যাত আইনজীবী ভাষাসৈনিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এ্যাডভোকেট মাদার বখশ্রে প্রথম সন্তান হিসেবে মনোয়ারা রহমান আজীবন নিজ পিতাকে অনুসরণ করেছেন।