বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদির পালানোর ঘটনায় জেলার ফরিদুর রহমান রুবেলকে রাজশাহীতে বদলি করা হয়েছে। বগুড়া কারাগারের জেল সুপার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, কর্তব্যে অবহেলার কারণে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম আনিসুল হকের নির্দেশে ফরিদুর রহমানকে কারা উপ-মহাপরিদর্শকের দপ্তর, রাজশাহী বিভাগে উপ-তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। এর আগে বুধবার ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে বগুড়া জেলা কারাগারের ‘জাফলং’ ভবনের কনডেম সেলের চার আসামি কারারক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান। এক ঘণ্টার ব্যবধানে কারাগারের পাশের এলাকা চেলোপাড়া চাষি বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চার আসামি হচ্ছে, কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার আজিজুল হকের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম মঞ্জুর (৬০), বগুড়া জেলার সদর থানার মো. ইসমাইল শেখের ছেলে মো. ফরিদ শেখ (২৮), কাহালু থানার মো. আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া (৩১) ও নরসিংদী জেলার মাধবদী থানার ইসরাফিল খার ছেলে আমির হামজা (৩৮)। ওই ঘটনার পর পুলিশ ও জেলা প্রশাসন জানায়, কারাগারের ওই ভবনটি খুবই পুরনো। ভবনের ছাদে কোনো রড নেই; এটি চুন ও সুরকি দিয়ে তৈরি। আসামিরা এক মাস ধরে বালতির হাতল দিয়ে ছাদ ফুটো করেন। কারাগারের প্রাচীর টপকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য তারা নিজেদের গামছা, চাদর ও পুরনো কাপড় জোড়া দিয়ে রশি তৈরি করেন। তবে পালিয়ে যাওয়ার মাত্র ১৫ মিনিটের মাথায় পুলিশ তাদের আটক করতে সক্ষম হয়। এর আগে এ ঘটনায় ডেপুটি জেলার হাসানুজ্জামান, প্রধান কারারক্ষী শরীফ উদ্দীন, দুলাল হোসেন, হাবিলদার আব্দুল মতিন এবং কারারক্ষী আরিফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া তিন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে কারারক্ষী ফরিদুল ইসলাম ও হোসেনুজ্জামানকে। বগুড়া কারাগারের জেল সুপার বলেন, ছাদ ফুটো করে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।