রাজশাহী মহানগরী শাহমখদুম থানার নওদাপাড়া এলাকায় ছাত্রাবাস হতে এক ছাত্রের ল্যাপটপ, ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে আরএমপি’র শাহমখদুম থানা পুলিশ। এসময় চুরি যাওয়া একটি ল্যাপটপ, একটি ক্যামেরা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার কলেজপাড়ার মো: হাবিবুর রহমানের ছেলে মো: মেহেদী হাসান (২৪), রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার বড়পুকুরিয়ার মৃত আ: রাজ্জাকের ছেলে মো: রাজু আহম্মেদ (৪০) ও একই থানার কোর্ট রায়পাড়ার মো: সাবিয়ার রহমানের ছেলে মো: তৌহিদুল ইসলাম (৩০)। ঘটনা সূত্র জানায়, শাহমখদুম থানার ওমরপুর হাজী আবুল হোসেন ইনস্টিটিউট-এর ৭ম সেমিষ্টারে ছাত্র মো: নাজমুস শাকিব শাওন নওদাপাড়া এলাকার তৃপ্তি ছাত্রাবাসে ভাড়া থাকতো। সেখানে জাহাঙ্গীর নামে একজনের মাধ্যমে আসামি মেহেদীর সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ৮ আগস্ট/২২ রাত সাড়ে ৮ টায় শাওনের ছাত্রাবাসে মেহেদী দেখা করে এবং সে রাত্রীযাপন করতে চায়। শাওন তাকে থাকার অনুমতি দেয়। এদিকে কয়েক দিন হয়ে গেলেও মেহেদী ছাত্রাবাস ছেড়ে না গেলে শাওন তাকে চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। মেহেদী আজ-কাল যাব বলে কাল ক্ষেপন করতে থাকে। গত ১৭ আগস্ট শাওন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে মেহেদী নেই এবং তার একটি ল্যাপটপ, একটি ডিএসেলর ক্যামেরা ও একটি মোবাইল ফোন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মেহেদীর মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এঘটনায় শাওন শাহমখদুম থানায় অভিযোগ করে। উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাহমখদুম ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় শাহমখদুম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই মো: নাসির উদ্দিন ও তার টিম চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার-সহ আসামি গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। পরবর্তীতে শাহমখদুম থানা পুলিশের ঐ টিম গতকাল ৭ সেপ্টেম্বর/২২ সকাল ১০ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে রাজপাড়া থানার লক্ষিপুর এলাকার পপুলার হাসপাতালের সামনে থেকে মূল আসামি মো: মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করে। মেহেদীর দেয়া তথ্যমতে রাজপাড়া থানার লক্ষীপুর এলাকার কনিকা ডিজিটাল স্টুডিও থেকে চুরি হওয়া ডিএসেলর ক্যামেরা-সহ আসামি রাজুকে এবং বেলা সাড়ে ১২টায় বোয়ালিয়া থানার নিউ মার্কেটের কম্পিউটার একসেসরিস দোকান থেকে চুরি হওয়া ল্যাপটপ-সহ আসামি তৌহিদুলকে গ্রেফতার করে শাহমখদুম থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে মেহেদী চুরির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং ল্যাপটপ ও ক্যামেরা তৌহিদুল ও রাজুর কাছে বিক্রয় করেছে বলেও জানায়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোঃ রফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।