চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নামো কাঞ্চনতলা গ্রামে সাবমার্সিবল পাম্প বসানোকে কেন্দ্র করে কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যকে হেনস্তা করায় এ মামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সরেজমিন ঘুরে এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই গ্রামে সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর জন্য এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের চাওয়া পাওয়া ছিল। সেই কারণে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর কাছে যায় এলাকাবাসী। ডাসকো নামে একটি বেসরকারী সংস্থা কর্তৃক পাম্প বসানোর কথা হলে গ্রামবাসী টাকা তুলে ২৫ হাজার টাকা চেয়ারম্যানের নিকট জমা দেয়। পরবর্তীতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর মাধ্যমে ওই গ্রামে সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হয়। এজন্য সরকারী খাতে ১০ হাজার টাকা জমা দেয়া হয়। এ পাম্প থেকে ৪০ পরিবারকে পানির লাইন দেয়া হয়, কিন্তু যারা এতদিন ধরে পাম্প বসানোর জন্য চেস্টা করছিল তাদের অনেকেই পানির লাইন থেকে বঞ্চিত হয়। পরিদর্শন করতে গিয়ে ইউপি সদস্য রমজান আলী গ্রামবাসির তোপের মুখে পড়েন। তাকে এ সময় হেনস্তা করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। পাম্প বসানো নিয়ে হায়াত আলী নামে একজন বলেন, আমি টাকা দিয়েছি, এমনকি আমার বাসা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হলেও আমি পানির লাইন পাইনি। একই অভিযোগ করেছেন ওই গ্রামের আসাদুল হক, আঁখি খাতুন, আনোয়ারা বেগম, আব্দুস সালাম, রাব্বানী, নুরজাহান বেগমেরা। তাদের অভিযোগ, ইউপি সদস্য রমজান আলী তার পছন্দের মানুষকে আগে লাইন দিয়েছে। কিন্তু আমরা এত আগে থেকে টাকা দিয়েও এবং দোড়াদৌড়ি করেও লাইন পাইনি। এ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রমজান আলী বলেন, যারা পানির লাইন পায়নি তাদেরকে পরবর্তীতে দেয়া হবে একথা বললেও তারা আমার উপর হামলা চালায়। এজন্য আমি গোমস্তাপুর থানায় তাদের ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর উপসহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, সেখানে একটি সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে যে গন্ডগোল ও মামলা হয়েছে তা আমার জানা নেই। বোয়ালিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শামিউল আলম শ্যামল বলেন, গ্রামবাসী টাকা তুলে আমাকে ২৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছে। তারমধ্যে ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর মাধ্যমে পাম্প বসানো হয়েছে। বাকী টাকা আমার কাছে আছে। অনেকে টাকা জমা দিয়ে লাইন পায়নি এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা সত্য। ইউপি সদস্য রমজান আলী তার পছন্দের লোকজনকে আগে দিয়েছে, এটা তিনি স্বীকার করেন। গন্ডগোল ও মামলা হয়েছে তিনি শুনেছেন। তবে তিনি বলেন, আসামিগন বর্তমানে জামিনে আছে। তিনি পানির লাইন থেকে বঞ্চিতদের অবিলম্বে পানির লাইন পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন।