নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আটক থাকা অবস্থায় লাফারু ইসলাম (৩২) নামক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। লাফারু ইসলাম উপজেলার নিতপুর মাষ্টার পাড়া গ্রামের মোঃ কুরানুর ছেলে। এসময় লাফারুকে গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তবে, পরিবারের দাবী, নির্যাতন করে হত্যার পর ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহের ষড়যন্ত্র হিসেবে ফাসির নাটক সাজানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (৪ আগষ্ট) সকালে সাইকেল চুরির অভিযোগে লাফারু এবং আশিক নামক দু’জন ব্যক্তিকে গ্রাম পুলিশ দিয়ে নিজ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক। আনুমানিক দুপুর ১২টায় কার্যালয়ে দু‘জনকে আটক রাখাকালীন অবস্থায় লাফারুর মৃত্যু হয়। এদিকে, নিহত লাফারুর বাবা কুরারনু জানান, ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল আমার ছেলেকে নদীতে কাজ করা অবস্থায় ধরে নিয়ে এসে পিটিয়ে হত্যা করার পর গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। আমি এটার সুষ্ঠু বিবার চাই। যেহেতু তাকে পিঠিয়ে মেরেছে তাই আমি এনামুল হক চেয়ারম্যানসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এ বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হককে ফোন দিলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। খবরটি নিশ্চিত করে পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ জহরুল ইসলাম জানান, আমরা নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে অভিযোগ পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।