রাজশাহীর বাগমারায় বিয়ের চার দিন পরই বালিশ চাপা দিয়ে স্বামীকে খুন করেছে গৃহবধু বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহত স্বামী বাগমারা উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের সাঁইপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (২২)। অভিযুক্ত গৃহবধু মোহনপুর উপজেলার ধুরইল গ্রামের আব্দুস শুকুরের মেয়ে শাপলা (১৮)। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ওই নববধূকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় নিহতের মা আফরোজা বাদি হয়ে বাগমারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। বাগমারা থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু দিন আগে উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের সাঁইপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের সাথে পাশর্^বর্তি মোহনপুর উপজেলার ধুরইল গ্রামের আব্দুস শুকুরের মেয়ে শাপলার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সূত্র ধরে পারিবারিকভাবে গত শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। গত শনিবার ঘটা করে নিহতের বাড়িতে বৌ-ভাতের আয়োজনও হয়। পরে সোমবার রাতে কোন এক সময় ওই নববধূ স্বামীকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে। পরে সকালে ছেলেকে না দেখতে পেয়ে ছেলের ঘরের ভিতরে নিহতের মা আফরোজা লাশ দেখে চিৎকার করতে থাকে। পরে লোকজন এসে নববধূকে আটক রেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ নবধূসহ নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়। স্থানীয় চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান জানান, ঘটনার পর পরই গিয়ে নিহতের লাশ সনাক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে আলামত পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতের শরীরে অবস্থা চিহ্ন দেখে মনে হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের লাশ সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তত করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত নববধূ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।