চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ০৫ নং ওয়ার্ডের দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ব্যক্তিগত লাল রঙের প্রাইভেট কার গত ৪ ফেব্রুয়ারী চুরি হয়।
লোক মাধ্যমে খোজাখুজি করে না পেয়ে অবশেষে সদর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি এজাহার দায়ের করেন মালেক। সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এজাহার টি আমলে নিয়ে মামলা রুজু করেন। সদর মডেল থানার মামলা নং- ২৪ তারিখ- ১৫/২/২০২৪ ইং।
এবং মামলাটি তদন্ত করার দ্বায়িত্ব দেন সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মোঃ বদিউজ্জামানকে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ঝাপাইপাড়ার গ্রামের মো. নুহু আলীর ছেলে মো. জনি (৩৪) নামের একজনকে আটক করেন। আটককৃত জনির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রায় ৮ ঘন্টার মধ্যে পৌর এলাকার দুর্গাপুর গ্রামের মোঃ আনাম আলীর ছেলে মোঃ আব্দুল মালেকের চুরি হওয়া লাল রঙের প্রাইভেট কারটি খন্ড খন্ড অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয় তদন্ত কারী কর্মকর্তা সাব -ইন্সপেক্টর বদিউজ্জামান।
উদ্ধার হওয়া প্রাইভেট কারের মালামাল জব্দ করে এবং আটককৃত জনি কে আদালতে সোর্পদ করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সদর মডেল থানাধীন পৌর এলাকার দূর্গাপুর পাওয়ার হাউস মোড়স্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে দুই ভাই আইরন ষ্টোর নামে একটি পুরাতন প্রাইভেটকার ক্রয়-বিক্রয়ের দোকান রহিয়াছে। মালেকের নিজ নামীয় লাল রংয়ের ঈঅজ ঝঊখঙঘ প্রাইভেটকার রহিয়াছে। যাহার রেজিঃ ঢাকা মেট্রো গ-১২-৭৪৬০। চ্যাসিস নং- ঝঠ৩০-০১১৭৪২১, ইঞ্জিন নং-৪৫-১১১৩৪৭৫, মূল্য অনুমান ৩,১০,০০০/- (তিন লক্ষ দশ হাজার) টাকা। মালেক প্রতিদিনের ন্যায় তার প্রাইভেটকার ইং-০৪/০২/২০২৪ তারিখ রাত্রি অনুমান ০৮:৫০ ঘটিকার সময় দুই ভাই আইরন ষ্টোর পুরাতন প্রাইভেটকার ক্রয়-বিক্রয়ের দোকানের সামনে রেখে তালা বন্ধ করে বাড়িতে যাই। গত ইং ০৫/০২/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ০৬:৩০ ঘটিকার সময় দোকানের সামনে গেলে দেখতে পাই যে, তার উপরোক্ত প্রাইভেটকার যথা স্থানে নাই। খোজাখুজি করে না পেয়ে অবশেষে সদর মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিন্টু রহমান জানান, পৌর এলাকার উপরাজারামপুর পাওয়ারহাউস এলাকা থেকে আব্দুল মালেক নামের এক ব্যক্তির একটি লালরঙের প্রাইভেটকার চুরি হয়। এ ঘটনায় সদর থানায় মোঃ আব্দুল মালেক বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করেন
মামলা দায়েরের ৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রাইভেট কার চোর জনিকে আটক করা হয় এবং আটককৃত জনির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রাইভেট কারের খণ্ড খণ্ড অংশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় সদর মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর বদিউজ্জামানসহ তার সঙ্গীয় ফোর্স।