চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে র্যালী হয়েছে। র্যালিতে সামনে সারিতে সিএ শামীম আখতার, আর অন্যদিকে পিছনে সারিতে উপজেলা কর্মকর্তারা। এনিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারী সকালে ভোলাহাট উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের আয়োজনে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবসের র্যালি বের হয়। র্যালিতে দেখা যায় তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী উপজেলা পরিষদের সিএ মোঃ শামীম আখতার প্রথম সারিতে থাকতে পারলেও উপজেলার গেজেটেড কর্মকর্তার ছিলেন পিছনের সারিতে। যা শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ তো বটেই, এটা প্রটোকল অনুসরণ না করারও সামিল।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেন, এটা নিঃসন্দেহে দৃষ্টিকটু আমরা পরবর্তীতে ঠিক করে নিব। অন্যদিকে, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ গরীবুল্লাহ দবির বলেন, আমি ছবিতে দেখলাম সাইডে ব্যানার ধরে আছে। এখানে তো সমস্যা কিছু দেখছিনা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ সুলতান আলী বলেন, কেউ যদি এগুলো না বুঝে তাহলে আমরা আর কি করব। আমরা তো আর কাউকে সরিয়ে সামনে যেতে পারিনা! এবিষয়ে ভোলাহাট উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসাঃ শাহানাজ খাতুন বলেন, অধিকাংশ সময়ে আমি নিজেই দাঁড়ানো কিংবা বসার প্রটোকল পায়না। এটা উপজেলা প্রশাসনের চরম পর্যায়ের ব্যর্থতা।
নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপজেলা কর্মকর্তা বলেন, আমাকে ইউএনও স্যার সামনে ডেকেছিল কিন্তু পরিবেশ না থাকায় যাওয়া হয়নি।
এবিষয়ে উপজেলা পরিষদের সিএ মোঃ শামীম আখতারের সাথে মোবাইলে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য, বিগত অনেক জাতীয় কর্মসূচীতে এধরনের প্রটোকল অনুসরণ না করারও অভিযোগ আছে উপজেলা পরিষদের সিএ মোঃ শামীম আখতারের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম এবং প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ী নির্মাণে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে। এখনই যদি তাকে নিয়ন্ত্রণ না করা যায়, তাহলে সামনে উপজেলাবাসীকে অনেক মাশুল দিতে হবে বলে নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এনিয়ে বেশ কয়েকজন অফিসারও অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন।