চাঁপাইনবাবগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বেশকিছু ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। এঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের রানীহাটি পাইকারপাড়া এলাকার একটি আম বাগানের ভেতর ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। স্থানীয়রা জানান, বিএনপি নেতা আলম ঝাপড়ার হত্যা নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই এলাকায় বিরোধ চলছে। এ ঘটনার জেরে সকালে আওয়ামীলীগ নেতা ও জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালামের লোকজন রানীহাটি পাইকারপাড়ার একটি আমবাগানে বেশ কিছু ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।
পরে বিএনপির ফয়সাল ও সাবেক চেয়ারম্যান আশারাফের লোকজনও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় অনেকে দোকান বন্ধ করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত বছর নয়ালাভাঙ্গা ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলম আলী ঝাপড়াকে কুপিয়ে হত্যার পর আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সালামের সঙ্গে বিএনপি নেতা আশরাফুল ইসলামের বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এরই জের ধরে রোববার দুপুরে সালামের লোকজন নয়ালাভাঙ্গা গ্রামের ফতেপুর এলাকায় প্রায় ৮-১০টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরই পাল্টা আশরাফের লোকজনও ওই এলাকায় ৮-১০টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় দোকানপাট বন্ধ করে দেয় এবং পথচারিসহ এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর রেশ কাটতে না কাটতে আবারো গভীর রাতে লাভাঙ্গা, বাবুপুর, রাণিহাটি বাজার, সরকারের মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় অকেকগুলো ককটেল বোমা বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। এলাকাগুলোতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, আতংকে রয়েছে এলাকাবাসী। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ককটেল বিস্ফোরণকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে এবং বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।