বরেন্দ্র অঞ্চলসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জে হিমেল হাওয়াসহ বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সেই সঙ্গে বেড়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিকে, হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৬ নটিক্যাল মাইল। বাতাসে গতি কম থাকলেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কম থাকায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এই তীব্র শীতে বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাপন। শীত বাড়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। রিক্সা চালক আব্দুল্লাহ বলেন, শীতে শরীরের মধ্যে কাপুনি ধরে যাচ্ছে। গেঞ্জি, সোয়েটার, জ্যাকেট পড়েছি। সঙ্গে চাদরও আছে তারপরেও ঠাণ্ডা লাগছে। শীতে সড়কে মানুষ কম। তাই আয়-উপার্জন কমে গেছে। শীতের মধ্যে মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকছি কিন্তু যাত্রী নেই। দিনমজুর মহব্বত আলী জানায়, আমরা রাজমিস্ত্রির সাটারিং এর কাজ করি। শীতের মধ্যে তুলনামূলক কাম-কাজ কম হচ্ছে। তার মধ্যে ঠাণ্ডা লাগার কারণে অসুস্থ ছিলাম। তিন থেকে চারদিন কাজে বের হইনি। আজ কাজে গিয়ে চলে আসলাম। অনেক বাতাসের কারণে ছাদের ওপরে টেকা যাচ্ছে না। এর আগের দিন রবিবার এ এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রবিবার ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল এবং দুপুর দুইটাই তাপমাত্রা ছিল ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বরেন্দ্র অঞ্চলসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সেই সঙ্গে কমেছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এছাড়া আবহাওয়ার গতিবিধিতে ধারণা করা হচ্ছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমবে।