৫০ শয্যা বিশিষ্ট গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিন দিন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে। উপজেলা সদর রহনপুরে হাসপাতালটির অবস্থান হওয়ায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার সহজলভ্যতার কারণে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক রোগী আসেন এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে। ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সাথে সময় দিতে গিয়ে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের আত্নীয়-স্বজনেরা ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা জানান, ডাক্তারের রুম থেকেই রোগীরা বের হতেই তারা একসাথে ৮ থেকে ১০ জন ওষুধের প্রেসক্রিপশনের ছবি তুলতে কাড়াকাড়ি শুরু করেন। কে কার আগে ছবি তুলতে পারবে, এই প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হোন তারা। তাদের এহেন কর্মকান্ডে বিব্রতবোধ করেন রোগী এবং তাদের আত্নীয়স্বজনেরা। তাদের টানাটানিতে কোন কোন রোগীর প্রেসক্রিপশনও ছিঁড়ে যায়। নিয়ম রয়েছে সপ্তাহে দুইদিন তারা হাসপাতালে ভিজিট করতে পারবেন। তাও দুপুর সাড়ে ১২টার পরে। এসময় তারা ডাক্তারের সাথে দেখা করে তাদের কোম্পানির ওষুধ সম্পর্কে অবহিত করবেন। অথচ তারা সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই প্রতিদিন হাসপাতালে এসে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। গত সোমবার (৬ মার্চ) সংবাদকর্মীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে এসব দেখতে পেয়ে ছবি তুলতে চাইলে প্রতিনিধিরা বাধা দেন। এসময় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের সংগঠন ফারিয়ার গোমস্তাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল ইসলাম তোতা সাংবাদিকদের সাথে দূর্ব্যবহারও করেন। এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি গোলাম মোর্শেদ বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তারা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। এবিষয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুল হামিদ হাসপাতালে ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের অসহনীয় ভূমিকার কথা স্বীকার করে জানান, তাদের সপ্তাহে দুইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার পরে হাসপাতালে ভিজিটে আসার কথা থাকলেও তারা সেই নিয়মের তোয়াক্কা করেন না। বারবার তাদেরকে নিষেধ করা হলেও তারা শুনেন না। তিনি এবিষয় নিয়ে ফারিয়ার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।