তথ্য প্রযুক্তির দাপটে গোমস্তাপুর উপজেলাসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫টি উপজেলায় গুরুত্ব কমছে চিরচেনা চিঠি বাক্স তথা ডাক বাক্সের। ফলে ধীরে ধীরে নতুন প্রজন্মের কাছে ডাক বাক্সের বিষয়টি এক সময় ইতিহাস হয়ে দাঁড়াবে। দেশের এক সময় যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল ডাকযোগ। দূরদূরান্তে বসবাসরত আত্মীয়-স্বজন পরিবার প্রিয়জন হৃদয়ের ভাব ব্যক্ত করত চিঠিপত্রের মাধ্যমে। সমস্ত আবেগ, অনুভূতি আর মায়া বহন করত সেই চিঠিপত্র। শুধু তাই নয় একসময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাতে সংবাদ লিখে সাংবাদিকরাও ডাকযোগে সংবাদ পাঠাতো পত্রিকা অফিসে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই স্মৃতিময় দিনগুলো অতীত। এখন আর আগের মত পোস্ট অফিসে লোকজনের আনাগোনা চোখে পড়ে না। আশির দশক পর্যন্ত যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল চিঠি এবং জরুরি বার্তার জন্য টেলিগ্রাফ এবং টেলিফোন। জেলা শহর ব্যতীত গ্রামীণ জনপদে টেলিফোনের ব্যবহার অত্যন্ত বিরল ছিলো। উইকিপিডিয়া থেকে জানা গেছে, ১৬৫৩ সালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে প্রথম ডাক বাক্স স্থাপন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ১৮২৯ সালে ডাক বাক্স গুলো ফ্রান্সের সর্বত্র ব্যবহার ছিল। পোল্যান্ডে প্রথম সার্বজনীন ১৮৪২ সালে ওশারশতে স্থাপন করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে দিন বদলের পাল্টে গেছে সবকিছু। এখন ঘরে বসে খবরা খবর পৌঁছে যাচ্ছে বিশ্বের যে কোন প্রান্তে। আলাপ চলছে
আধুনিক মোবাইল, খুঁজে বার্তা, আর ফেসবুকের ইনবক্সে (মেসেঞ্জার)। উপজেলায় ডাকঘর চোখে পড়লেও ইউনিয়নগুলোতে ভিন্ন চিত্র। অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকছে ডাকবাক্স। স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে ইমেইল, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক ব্যবহারের কারণে মানুষ আর আগের মত চিঠি লেখে না। যা লেখে আর শুনে সব ডিজিটাল মাধ্যমগুলোতে। ফলে এ ঐতিহ্যটি আমাদের মাঝে থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। ধীর গতির কারণে মানুষ ডাকযোগ থেকে মুখ ফিরিয়ে ৪/৫ গুণ অধিক খরচ করে কুরিয়ারে প্রয়োজনীয় চিঠিপত্র পাঠাচ্ছে। ডাক যোগের বিষয়টি সঠিক ব্যবহার করে বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন।