নওগাঁর নিয়ামতপুরে মন্দিরগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পী ও কারিগররা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। দুর্গাপূজা কড়া নাড়ছে বাঙালির দুয়ারে দুয়ারে। এর মধ্যেই মা দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে খড়, কাঠ ও কাদামাটির কাজ শেষ করে চলছে রংয়ের কাজ। নিখুঁতভাবে প্রতিমার মুখের অবয়ব রং-তুলি দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ মনোযোগ রয়েছে শিল্পীদের। উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ৬২টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হচ্ছে। এরমধ্যে ২০ টি মন্ডপ অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। পঞ্জিকা মতে ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবং ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই উৎসবের। দেবীর এবার আগমন ও গমন ঘোটকে (ঘোড়ায়) যার ফল ছত্রভঙ্গ অর্থাৎ (অশুভ) পৃথিবী এবার অনেকটা অস্থির ও বিশৃঙ্খল থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ইশ্বর চন্দ্র বর্মন বলেন, শারদীয় দূর্গা উৎসব যেন সুষ্ঠুভাবে পালন করার লক্ষে সকল মণ্ডপের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে। উপজেলায় ৬২ টি মন্দিরে দুর্গাপূজা হবে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপম সাহা মন্দিরগুলো পরিদর্শন করে সব প্রস্তুতির খোঁজখবর নিয়েছেন। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি প্রস্তুত থাকবে বলে জানান তিনি। নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাইদুল ইসলাম বলেন, পূজায় যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি। আমাদের সাদা পোশাকের পুলিশ সার্বণিক পর্যবেক্ষণ করছে, দিনে-রাতে টহল দিচ্ছে। এছাড়াও আনসারসহ মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক পূজা মণ্ডপগুলোতে বিশেষ নজরদারি রাখবে।