পাবনায় তরুণীকে ধর্ষণ করা মামলায় এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। চিকিৎসক এর নাম কামরুজ্জামান নয়ন। সে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ (জুনিয়র কনসালটেন্ট)। ডাঃ নয়ন পাবনা সদর উপজেলার ক্যালিকো রাজাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে।
আটকের পর মঙ্গলবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। তরুনী নিজেই বাদী হয়ে পাবনা থানায় মামলা করেন। পাবনা সদর থানার ওসি রওশন আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভূক্তভোগী তরুণী পাবনার একটি বেসরকারি ফ্যামিলি হিয়ারিং সেন্টারে চাকরি করেন। ডা. কামরুজ্জামান নয়ন রোগীদের পরীক্ষার জন্য তার কাছে পাঠাতেন। রোগীর আসা-যাওয়ার মাধ্যমে ডা. নয়নের সঙ্গে তরুণীর ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত সেপ্টেম্বরে ডা. কামরুজ্জামান তার স্ত্রী অসুস্থ বলে ওই তরুণীকে রান্নার জন্য বাসায় ডাকেন। তরুণী চিকিৎসকের বাসায় গেলেও তার স্ত্রীকে দেখেননি। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন ডা. নয়ন। সেই ধর্ষণের দৃশ্য তিনি মোবাইল ফোনে গোপনে ধারণ করে রাখেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বাসায় নিয়ে তাকে একাধিকাবার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেন। সর্বশেষ গত ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় তার বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন চিকিৎসক কামরুজ্জামান। এ অবস্থায় উপায় না পেয়ে মামলার সিদ্ধান্ত নেন তরুণী। পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী বলেন, তরুণী মঙ্গলবার সকালে নিজে বাদী হয়ে পাবনা থানায় মামলা করেছেন এবং তার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। দুপুরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তরুণীর মেডিকেল পরীক্ষা হয়েছে। তবে রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।