চাঁপাইনবাবগঞ্জে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের মতবিনিময় সভার একদিন পর চালের দাম পূর্বের মূল্যে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মিল মালিক ও ধান চাল সমিতি। চালের বাজার নিয়ে বর্তমানে কোন অস্থিতা নেয়। ধানের দাম উঠানামা করায় চালের দামে কিছুটা হেরফের হয়। তবে বর্তমানে চালের দাম নিয়ে বাজারে কোন অস্থিরতা নেয় বলে দাবি করেছেন জেলার চাল-কল মালিকরা। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাট্রিজ এর সম্মেলন কক্ষে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা চাউল কল মির মালিক গ্রুপ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা চাউল কল মিল মালিক গ্রুপের সহ-সভাপতি ও আনোয়ার অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী মোঃ আনোয়ার হোসেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সারাবছরে বিভিন্ন সময় ধানের দাম উঠানামা করায় চালের দামে একটু হেরফের হওয়ায় স্বাভাবিক। তারপরেও আমরা সহনীয় মুল্যে চাল সরবরাহ করে থাকি। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জের মুনজুর ও সাগর অটো রাইস মিল এবং অন্যন্য মিলারদের নাম ঢাকা থেকে অপপ্রচার করা হয়েছে এটি সত্যি নয়। এরপরেও দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়তোবা ঘটেছে। আমরা ইতিমধ্যে কারণ উল্লেখ করে প্রশাসনকে জানিয়েছি বিষয়টি।
আমরা জেলা প্রশাসনের সাথে মিটিং করে ইতিমধ্যে চালের বাজার সহনীয় রাখতে সুলভ মুল্যে চাল বিক্রির বাজার দর অর্থাৎ চালের মুল্য নির্রাধারণ করে প্রতোক মিলে ব্যনার ঝুলানো হয়েছে। বর্তমানে সরু চাল মিল থেকে ৬২ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে নবাব গ্রুপের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আকবর হোসেন, মোজাম্মেল হক অটো রাইস মিলের চেয়ারম্যান জেলা মিল মালিক ও ধান চাল সমিতির সভাপতি ও হক অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী মোঃ হারুনুর রশিদ। এরফান গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম, ফারুক অটো রাইস মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফারুক হোসেন, আতিক অটো রাইস মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মফিজ উদ্দিন, ফারুক অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী মোঃ ফারুক হোসেন, মন্জুর অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী মোঃ মন্জুর হোসেন, জোসনারা অটো রাইস মিলের প্রতিনিধিসহ অন্যান্য মিলারগণ, বিভিন্ন অটোরাইস মিল, হাসকিং মিল ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় উৎপাদিত মিনিকেট/জিরাশাইল, ২৮ চাউল, স্বর্ণা চাউল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে থাকি। দীর্ঘদিন থেকে আমরা জেলার চাল ব্যবসায়ীগণ সুনামের সাথে সারাদেশে প্রসিদ্ধ চাল সরবরাহ করে থাকি এবং সরকারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছি। সরকারের যেকোন দুর্যোগ মুহুর্তে আমরা সরকারের পাশে থেকে কাজ করি, যেমন করোনা কালীন আমরা সরকারকে যথা সময়ে চাল সরবরাহ করেছি। সেইসাথে সরকারকে চাল কল মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে আমরা বিনামূল্যেও চাল দিয়ে জেলার গরীব মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। ব্যবসায়ীদের কষ্ট হলেও আমরা যথাসময়ে সব মৌসুমে সরকারের গুদামে চাল সরবরাহ করে থাকি। সারাবছরে বিভিন্ন সময় ধানের দাম উঠানামা করায় চালের দামে একটু হেরফের হওয়াই স্বাভাবিক। তারপরও আমরা সহনীয় মূল্যে চাল সরবরাহ করে থাকি। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জএর মুনজুর ও সাগর অটো রাইস মিল এবং অন্যান্য মিলারদের নাম ঢাকা থেকে অপোপ্রচার করা হয়েছে। বর্তমানে বাজারে চালের দাম সহনীয় আছে এবং থাকবে। বাজারে কোন চালের দাম অতিরিক্ত হয়নি বা অস্থিরতা সৃষ্টিও হয়নি। তবে আমাদের কাছ থেকে কমদামে চাল কিনে কিছু পাইকারী ব্যবসায়ী ও খুচরা বিক্রেতারা বাজারে বেশী দামে চাল বিক্রি করছে। ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার আমরা চাল ব্যবসায়ীগণ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সাথে মতবিনিময় সভা করেছি। চালের সঠিক দাম ও মূল্য ঠিক রয়েছে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ও সরকারের ভাবমুর্তি ধরে রাখতে জেলা সমিতি বিনা লাভে বা প্রয়োজনে লোকসান করে চালের দাম আবারো আগের দামে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।