স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য ৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি)। সোমবার রাজশাহী পুলিশ লাইনস্-এ ৯ মণ ওজনের একটি গরু জবাই করে খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে কম দামে এই গরুর মাংস বিক্রি করা হয়। আরএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনায় খেটে খাওয়া গরিব-অসহায় মানুষের মাঝে এই গরুর মাংস বিক্রি করা হয়। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই কেজি মাংস ৬০০ টাকা কেজি দরে কিনতে পারবেন। পবিত্র রমজান মাসে খেটে খাওয়া মানুষ যাতে কম দামে গরুর মাংস ক্রয় করে খেতে পারেন, সেজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। এদিকে, রাজশাহীতে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ছোলা প্রতি কেজি ৯৮ টাকায় বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়া হলেও গতকাল রবিবার সকাল থেকে রাজশাহীর বাজারে ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা দরে। বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংসের সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬৪ টাকা। এ ছাড়া ছাগলের মাংসের দাম ১ হাজার ৩ টাকা। তবে বাজারে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি। খাসির মাংস ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকায়। সরকার নির্ধারিত মাছের মধ্যে চাষের পাঙাশ মাছের খুচরা দাম ১৮১ টাকা ও কাতলা মাছের দাম সর্বোচ্চ ৩৫৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এসব মাছের কোনোটিই নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না। প্রতি কেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। কাতলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া সরকার নির্ধারিত দামে ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা দরে বিক্রি করার কথা। তবে বাস্তবে এই দামে কোনো কিছুই মেলেনি। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি। আর সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি। রাজশাহী বাজারে সর্বনিম্ন খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা কেজি।