চাঁপাইনবাবগঞ্জে খাতিজা খাতুন নামে একজন এনজিও কর্মীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যা এবং ওই নারীর চাচাতো বোন তাবাসুমকে (৪) হত্যা চেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের একটি মামলায় ৪ জনকে যাবজ্জীবন, ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে ২ বছর কারাদন্ড এবং পৃথক ধারায় দন্ডিত ৪ জনের বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বিচারক আদেশে উল্লেখ করেন, সকল দন্ড একত্রে কার্যকর হবে। এছাড়া মামলায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ আসামীকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। বুধবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতণ দমন ট্রাইবুনালের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার দন্ডিতদের উপস্থিতিতে আদেশ প্রদান করেন। দন্ডিতরা হচ্ছে, শিবগঞ্জের আখিরা গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে আব্দুল জলিল, একই গ্রামের মন্টুর ছেলে মোহাম্মদ আলী সাদ্দাম, আব্দুল মান্নানের ছেলে হেলাল আলী ও মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে আওয়াল হোসেন।
পিপি এনামুল হক বলেন, হেলালের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল খাতিজার। ২০১৮ সালের ৯ আগষ্ট দিবাগত রাতে হেলাল ও তার সহযোগিরা বিয়ের তারিখ ঠিক করার কথা বলে খাতিজা ও তার বোনকে আখিরা গ্রামের একটি আখক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে একাধিকজন তাকে ধর্ষণ, একাধিকজন সাহায্য করে ও পরে কেউ কেউ খাতিজাকে শ^াসরোধে হত্যা করে। কেউ কেউ শিশু তাবাসুমকেও হত্যার চেষ্টা করে। পরদিন খাতিজার মরদেহ ও তাবাসুম জীবিত উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় ওইদিন শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহতের পিতা শিবগঞ্জের লাওঘাটা গ্রামের আলাউদ্দিন। ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল পিবিআই উপ-পরিদর্শক(এসআই) সাইদুর রহমান ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা করেন।