রাজশাহী নগরীর হেতেম খাঁ এলাকায় চাঁদাবাজিকালে পুলিশের এক কনস্টেবলকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন এলাকাবাসী। এ সময় ক্ষুব্ধ জনতার কাছ থেকে পুলিশের ওই সদস্যকে উদ্ধার করে থানায় সোপর্দ করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর। সোমবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় আটককৃত ওই পুলিশ সদস্যের নাম মিজানুর রহমান। তিনি রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) বায়া ফাড়িতে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। পুলিশের একটি সূত্র এবং রাসিকের ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রবিউল ইসলাম তজু অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের পরিচয় নিশ্চিত করেছে। স্থানীয়রা জানায়, হেতেম খাঁ সবজিপাড়ায় অবস্থিত একটি ছাত্রাবাসের এক ছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে রবিবার টাকা দাবি করেন কনস্টেবল মিজানুর রহমান। এ সময় তিনি ওই ছাত্রের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা আদায় করেন এবং আরো ১০ হাজার টাকার দাবি করেন। ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তজু জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর হেতেম খাঁ সবজিপাড়ায় অবস্থিত তার কার্যালয়ের সামনে কনস্টেবল মিজানুর রহমান চাঁদাবাজী করতে আসলে এলাকাবাসী কনস্টেবলকে হাতেনাতে আটক করে। এ সময় কাউন্সিলর নিজে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর কাছ থেকে সিভিল পোশাকে থাকা কনস্টেবল মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। বর্তমানে অভিযুক্ত কনস্টেবল মিজানুর রহমান বোয়ালিয়া থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। এব্যাপারে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, কনস্টেবল মিজানের কর্মস্থল বায়া ফাঁড়িতে। রাত ১০টার সময় হেতেম খাঁ কি করণে এসেছেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে।