চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আবদুল মালেক (৪৮) ও মার্জিনা বেগম (৪০) দম্পতির ওপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ। এ নিয়ে সোমবার (১৭ অক্টোবর) ভূক্তভোগী ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের গোলাবের হাট এলাকার আবদুল মালেক বাদি হয়ে শিবগঞ্জ থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে-গত রোববার (১৬ অক্টোবর) সকালে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ভূক্তভোগী আবুল মালেকের বসতবাড়ি ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আবদুল মালেক ও তাঁর স্ত্রী মার্জিনা বেগম জখম হয়। ভাঙচুর করা হয় বসতবাড়িসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র।
লুটপাট করা হয়েছে প্রায় দুই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার। পরে আবদুল মালেক ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা আহত দম্পতিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকিরুল ইসলাম জানান, জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল পাওয়া মাত্র দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে বাড়ি-ঘর ভাংচুরের কোন কিছুই দেখতে পাইনি।
অথচ সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, মিজানুর রহমান (মেজর) তার দলবলসহ নাসিরকে নিয়ে বাড়ি-ঘর ভাংচুরের বিষয়টি স্বীকার করেন। বাদি আব্দুল মালেক বলেন, এস.আই জাকিরুল আমাকে শাসিয়ে বলে তুই যদি আর একবার ৯৯৯ এ ফোন দিস, তাহলে তোকে জেল-হাজতে ঢুকাবো। প্রসঙ্গত, গত ১৩ অক্টোবর অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা ও নিরাপত্তা চেয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছিলেন আবদুল মালেক। শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ জানান, মামলা দায়েরের বিষয়টি আমার কাছে এখন পর্যন্ত আসেনী। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।