রাজশাহী মহানগরীতে দূর্বৃত্তদের হাতে মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে দুই চিকিৎসক খুন হয়েছেন। দোকান থেকে তুলে নিয়ে পল্লী চিকিৎসক এরশাদ আলী দুলাল কে এবং বাড়ি ফেরার পথে অপর চিকিৎসক চিকিৎসক কাজেম আলী আহমেদ কে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে বলে জানায় পুলিশ। রোববার রাত ৯টার দিকে নগরীর সিটি হাটের পাশ থেকে প্রথমে এক পল্লী চিকিৎসক মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে নগরীর বর্ণালীর মোড়ে অপর এক চিকিৎসককে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে বলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) পুলিশ বক্সের ইনচার্জ মুকুল হোসেন জানান।
নিহত কাজেম আলী আহমেদ (৪৮) রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন। নিহত চিকিৎসক কাজেম আলী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চর দেবিনগর গ্রামের গোলাম মর্তুজার ছেলে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ৪২তম ব্যাচের ছাত্র।
রামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ মুকুল বলেন, চিকিৎসক কাজেম আলী রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত রোগী দেখতেন। প্রতিদিনের মতো রোববার নগরীর লক্ষ্মীপুরে চেম্বার শেষে মোটরসাইকেল করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে গ্লোবাল ফার্মাসিটিক্যালের বিক্রয় প্রতিনিধি শাহীন আলম ছিলেন। বর্ণালীর মোড়ে পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। পরে মাইক্রোবাস থেকে কয়েকজন নেমে কাজেম আলীকে কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় শাহীন তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসক রাত ১টার দিকে কাজেম আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপর নিহত পল্লী চিকিৎসক এরশাদ আলী দুলাল (৪৫) চন্দ্রিমা থানার কেচুয়াতৈল গ্রামের শামির উদ্দিনের ছেলে। নগরীর কৃষ্টগঞ্জ বাজারে তার একটি ফার্মাসি রয়েছে। শাহ মখদুম থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে একটি মাইক্রোবাস থেকে একদল মুখোশধারী নেমে দুলালকে তার ফার্মেসি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে রাত ৯টার দিকে সিটি হাটের পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।