ঘন কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো বাতাসে শীতের দাপটে থরথর কাঁপছে উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। সুর্যের দেখা মিলছে না প্রায়ই। সূর্যের দেখা পেলেও তাপ নেই রৌদ্রের। ফলে হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতে বিপর্যস্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। কনকনে ঠান্ডায় মানুষ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। রাত যতই গড়ায় কুয়াশা ততই বাড়তে থাকে, সাথে বাতাস।
আর যেন পড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মত শিশির। তীব্র শীত ও কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিশেষ করে জেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলের মানুষ। পাশাপাশি গবাদি পশুও চরম দূর্ভোগে পড়েছে। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না।। রাত থেকে সময় যত বাড়তে থাকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে প্রকৃতি এবং তা অব্যাহত থাকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত। সকালের দিকে রোদের দেখা না মেলায় বেড়েছে শীত। এদিকে, ঘন কুয়াশায় সকালে সড়কে হেডলাইট জ¦ালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় গত ৩ দিন হিমেল হাওয়ার পাশাপাশি ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে।
রাত বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়েছে। পাশাপাশি হিমেল বাতাসে কারণে অন্যান্য দিনের চেয়ে রাস্তায় কমেছে রিকশাসহ অন্যান্য ছোট যান সেই সাথে লোকজনের আনাগোনা কমে গেছে। আর ক্রেতাদের আগমন না ঘটায় সন্ধ্যার পর থেকে অনেক দোকান-পাট আগেভাগেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গভীর রাত থেকে কুয়াশা বেড়ে সকাল গড়িয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে ছোট-বড় যানবাহন। বিশেষ করে রিকশা, ভ্যান ও অটোরিকশা সকালে বের হলেও যাত্রীর সংখ্যাও কম। অটোরিকশা চালক আবুল হোসেন, তরিকুল, সাফিজুলসহ কয়েকজন অটোরিকসা চালক জানান, সকালে রিকশা বের করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। বেলা ১১টার দিকে রিকশা বের করলেও তেমন যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। কুয়াশার পাশাপাশি ঠান্ডা বাতাসের কারণে রাস্তায় লোকজনর সংখ্যাও কম। রাস্তায় চলতে হচ্ছে সাবধানে, সেই সাথে আয়ের পরিমাণও কমে গেছে। ভোরে কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে পণ্য নিয়ে ভ্যান চালাতে কষ্ট হচ্ছে। যেভাবে হাঁড়া কাঁপানো ঠান্ডা পড়েছে, তাতে শ্রমজীবীরাও পড়েছে বিপাকে। কুয়াশা আর বাতাসের কারণে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। এছাড়া এ প্রতিকুলতার মাঝেও তারা মাঠে কাজ করছেন কৃষকরা। আবার অনেকেই কাজে যেতে দেরী করছেন। কুয়াশার পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহে সকাল থেকেই মহাসড়কে তুলনামলক ধীরে চলছে দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী পরিবহনগুলো। তীব্র শীতে কাজ কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুররা। ঠিকভাবে কাজ পাচ্ছেন না, পরিবার পরিজন নিয়ে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। শীতের কাপড়ের অভাবেও কষ্ট পাচ্ছে দরীদ্র ও অসহায় পরিবারগুলো।