নির্মাণ কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় বিল দিতে রাজি না হওয়ায় শারীরিকভাব লাঞ্ছনার স্বীকার হয়েছেন বাংলাদশ কৃষি উন্নয়ন কর্পারেশন(বিএডিসি) এর নাটোর (ক্ষুদ্র সেচ) জোনের সহকারী প্রকৌশলী নাসিম আহমদ। সুমি কনস্ট্রাকশন এর স্বত্তাধিকারী রওশন আলম মাহমুদ রাজু এবং তার অনুসারীরা মিলে রবিবার দুপুরে ভুক্তভাগী সহকারী প্রকৌশলীর কক্ষে প্রবেশ করে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। প্রকৌশলী নাসিম আহমদ বলেন, দুপুরে ঠিকাদার রাজু এবং তার দুজন অনুসারী আমার রুমে প্রবেশ করে। এরপর রাজু “পাবনা-নাটোর-সিরাজগঞ্জ জেলায় ভূ-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ উন্নয়ন প্রকল্পর” আওতায় একটি স্কিম চলমান ব্যারিড পাইপ লাইন নির্মাণ কাজের বিল দিতে বলেন এবং উচ্চবাচ্চ্য করেন। কিন্তু কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী বিল দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং পুরা কাজ সম্পূর্ণ করে বিল দাখিল করতে বলেন। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে ঠিকাদার রাজু লাথি দিয়ে প্রকৌশলী নাসিম কে চেয়ার থেকে ফেলে দেন। এরপর রাজুর এক সহযোগী রুমের দরজা বন্ধ করে দেন এবং তিনজন মিলে এলোপাথাড়িভাব লাথি ও কিল ঘুষি দিতে থাকেন। নাসিমের চিৎকার শুনে তার দপ্তরের অন্যান্য সহকর্মীরা দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে এবং নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে, এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদার রওশন আলম মাহমুদ রাজু। নাসিম আহমদ বলেন, এ ঘটনায় নাটোর থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। অপরদিকে, এ অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদার রওশন আলম মাহমুদ রাজু বলেন, এক মাস আগেই কাজটি শেষ করে বিল উত্তালনের জন্য কাগজপত্র দাখিল করি। কিন্তু সহকারী প্রকৌশলী নাসিম আহমদ বিল না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। আজ তার সাথে দেখা করলে তিনি ৩ পার্সেন্ট উৎকোচ দাবি করেন। আমি দিতে অস্বীকার করলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। কিন্ত কোনরুপ লাঞ্চনার ঘটনা ঘটেনি। উল্টা অফিসের স্টাফরাই আমাকে লাঞ্চিত করে। তিনি এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। তবে নাটোর বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলীর নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ বিষয় নাটোর থানার ওসি নাসিম আহমদ বলেন রাত্রী ৮টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাননি। কেউ বিষয়টি তাকে জানায়নি।