কুমিল্লার লালমাই উপজেলার সিএনজিচালিত অটোরিকশার পাশ কাটানোকে কেন্দ্র করে একজনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। নিহত ফরিদ আহমেদ (৪০) উপজেলার বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের নাটোপাড়া গ্রামের মৃত কলিমুদ্দীনের ছেলে। তিনি ওই গ্রামের ইতালি প্রবাসী আবু তাহেরের বাড়ির কেয়ারটেকার ও দিনমজুর ছিলেন। লালমাই থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার নাটোপাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে রাত ৯টার দিকে হাসপাতালে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মামুন হোসেন নামের (৩০) একজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে এলাকাবাসী। আহতরা হলেন-নাটোপাড়া গ্রামের ইতালি প্রবাসী আবু তাহের, তার স্ত্রী তানজিনা, শ্যালক আবদুল্লাহ, শ্বশুর আবু তাহের ও শাশুড়ি হাছিনা বেগম। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তাহের, তার স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও শ্যালক সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে গ্রামের ইউনুছের বাড়ির সামনে নাটোপাড়া গ্রামের হাকিম আলী, আবুল হাসেম, তার ছেলে মাসুদ ও মামুনকে বহনকারী অন্য একটি অটোরিকশাকে পাশ কাটানো নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে মাসুদ, মামুনরা অটোরিকশার যাত্রীদের মারধর করে। খবর পেয়ে ফরিদ ভাই ঘটনাস্থলে যেতে গেলে হামলাকারীরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত ৯ টায় ফরিদ ভাই মারা গেছেন। গ্রামবাসী হামলাকারী মামুনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। নিহতের স্ত্রী নাসিমা বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমার স্বামী ইতালি প্রবাসী তাহের ভাইয়ের বাড়ির কেয়ারটেকার ও দিনমজুরের কাজ করত। তাহের ভাইয়ের ওপর হামলার খবর পেয়ে আমার স্বামী ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় হামলাকারীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। লালমাই থানার ভুশ্চি বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, নিহতের ঘটনায় মামুন নামে একজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত দেশীয় কয়েকটি অস্ত্র গ্রাম পুলিশ উদ্ধার করেছে। ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।