মো. আব্দুল্লাহ সুয়াদ। জন্মগতভাবে সেরিব্রাল পালসি রোগে আক্রান্ত। নিজের অদম্য ইচ্ছায় পড়তে চান বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুক্রবার (৩ মে) গুচ্ছের মানবিক বিভাগের ‘বি ইউনিট’ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হুইলচেয়ার করে বাবা মো. মুশফিকুর রহমান ও মা শিরিন রহমান নিয়ে আসেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে। সঙ্গে একজন শ্রুতলেখক। এ সময় তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমিও স্বাভাবিক মানুষের মতো এগিয়ে যেতে চাই। আমি কারও বোঝা হয়ে থাকতে চাই না। ভালোভাবে পড়াশোনা করে নিজের পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নিতে চাই। আমার খুব ইচ্ছে করে অন্য মানুষের মতো সবকিছু করতে। পরীক্ষা কেমন হয়েছে জানতে চাইলে বলেন, পরীক্ষা ভালো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সহজ হবে। আব্দুলাহ সুয়াদের জন্ম রংপুর নগরীর নীলকণ্ঠ সোটাপির এলাকায়। বাবা-মায়ের দ্বিতীয় সন্তান তিনি। মা গৃহিণী, বাবা সরকারি কর্মকর্তা। শ্রুতলেখকের সাহায্যে রংপুর উচ্চবিদ্যালয় কলেজ থেকে এসএসসি এবং বিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি-ইচ্ছুক এ শিক্ষার্থীর মা শিরিন রহমান জানান, সুয়াদ পড়াশোনায় অনেক মনোযোগী। কষ্ট হলেও নিয়মিত পড়াশোনা করে কৃতিত্বের সঙ্গে এইচএসসি পাশ করে আজ এ পর্যন্ত এসেছে। আমরা তার ভবিষ্যৎ জীবনের মঙ্গল কামনা করছি। সুয়াদের বাবা মুশফিকুর রহমান বলেন, আমরা ওর ভালোর জন্য সাধ্যমতো সব করেছি। স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ এবং আজ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাতেও ওর সঙ্গে এসেছি। বর্তমানে এ প্রতিযোগিতার যুগে জানি না ছেলেটা কতদূর এগোতে পারবে। প্রসঙ্গত, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় রংপুর জেলায় ১৩ হাজার ১৬৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছেন। তাদের মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ২৬২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।