1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
বোর্ন ক্যান্সারে আক্রান্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছোট্ট শামিয়া বাঁচতে চায়- দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন

বোর্ন ক্যান্সারে আক্রান্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছোট্ট শামিয়া বাঁচতে চায়-

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩
  • ১০৪ বার পঠিত

বোর্ন ক্যান্সারে আক্রান্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছোট্ট শামিয়া বাঁচতে চায়-

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ভর্তি হয় সামিয়া। ভর্তির পর অনেকটা স্বপ্ন নিয়েই উচ্চ বিদ্যালয়ের গন্ডিতে পথচলা শুরু হয়, কিন্ত কিছুদিন যেতেই ধরা পড়ে সামিয়ার বোর্ন ক্যান্সার। মেয়েকে নিয়ে মায়ের স্বপ্নও যেন অংকুরেই নিভে যেতে বসেছে। ৫ম শ্রেনীতে কৃতৃত্বের সাথে উত্তিন্ন হয়ে এ বছরই নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। সে বাঁচতে চায়। তাঁর পরিবার সকলের কাছে দোয়া এবং আর্থিক সহযোহিতা কামনা করেছেন সমাজের বিত্তবান ও সরকারের কাছে। ছোট্ট সামিয়া, দূরন্ত শৈশবের এ সময়ে তার ঠায় হাসপাতালের বিছানায়। কিন্ত কথা ছিলো স্কুলের সহপাঠীদের সাথে থাকার। শামিয়া আক্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বেলেপুকুর এলাকার মোঃ তোফিকুল ইসলাম ও মাতা সেলিনা বেগমের ছোট সন্তান। মরন ব্যধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কলার বোর্ন এর নিচের হাড় ভেঙ্গে যায় তার। তার মা রাজশাহী ও ঢাকায় চিকিৎসা করে সাময়িক স্বুস্থ হলেও ক্রমাগত হাত, পা ফুলে যাওয়া তার পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মহাখালির জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে যায়। সেখানেও অবস্থা দিনে দিনে আরও খারাপ হওয়ায় তার মা নিজের সহায় সম্বল বিক্রি করে এবং আত্মীয় স্বজনের কাছে টাকা ধার-কর্জ করে গত ৭ মার্চ ভারতের ব্যঙ্গালোরে মজুমদার ক্যান্সার হাসপাতালে ভর্তি করেছেন এবং তার চিকিৎসা চলমান রয়েছে। শামিয়ার বড় বোন নবাবগঞ্জ সরকারী কলেজের ছাত্রী আজিজা খাতুন জানান, শামিয়া খুব মেধাবি ছাত্রী এবং চঞ্চল প্রকৃতির ছিল। ব্যঙ্গালোরে মজুমদার ক্যান্সার হাসপাতালের চিকিৎসক তার মাকে জানায় শামিয়া প্রায় ৮ মাস হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। এতে আনুমানিক ব্যয় হবে ২০/২৫ লক্ষ টাকা। অর্থের অভাবে তার বোনের চিকিৎসা হবে না একথা বলতেই মুঠো ফোনে কেঁদে ফেলে শামিয়ার বড় বোন। শামিয়ার প্রধান শিক্ষক মোঃ ফজলুর রহমান জানান, শামিয়া খুব মেধাবি ছাত্রী তবে চলতি বছর ক্লাসে অনুপস্থিত থাকত। তিনি আরও বলেন শামিয়ার মরনব্যধি ক্যান্সার এ অসহায় পরিবারটি নিঃস হওয়ার পথে। কারণ তাদের পরিবারটি তার মায়েই চালাত। অর্থ সংকটে একদিন দেখা যাবে আমার প্রিয় ছাত্রীর অকাল মৃত্যু। আমরা প্রতষ্ঠিানগত ভাবে শামিয়াকে যৎসামান্য সহায়তা করেছি মাত্র। প্রতিবেশীরা জানান, সামীমার পিতা তোফিকুল ইসলাম ২০১৬ সালে বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই আর কোন খোঁজ খবর রাখেন না। শামীমার মা তার দুই মেয়েকে নিয়ে বাবার বাসায় থাকতেন। তবে শামীমার নানা আহসান হাবিব মারা যাওয়ার পর থেকে পরিবারটি অনেকটায় অসহায় হয়ে দূর্বিশহ জীবন-যাপন করছে। বর্তমানে শামীমার চিকিৎসা ব্যায় নির্বাহ করায় দূরুহ হয়ে পড়েছে। প্রতিবেশী চাচা আপেল মাহমুদ জানান, শামিয়াদের পরিবারটি বর্তমানে চরম কষ্ট ভোগ করছে। তার পরিবার নিরুপায় হয়ে শিশুটির প্রান রক্ষার জন্য সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরা সবাই যদি কিছু কিছু করে আর্থিক সহায়তা করি, তাহলে ২৫-৩০ লাখ টাকা জোগাড় হওয়া খুব সহজ। আমি সবার কাছে আহ্বান করছি, আপনাদের সামান্য অংশ গ্রহনে, বেঁচে যেতে পারে একটি শিশুর জীবন। অংকুরেই স্বপ্নটা যেন নিভে না যায়, সেজন্য সমাজের বিত্তবানসহ আমরা সবাই একটু এগিয়ে আসি। আর্থিক সহায়তা পাঠানোর জন্য বিকাশ নং-০১৭৯৭৭২১৪০৮। অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড খামার শাখা, একাউন্ট নং-০২০০০১৬২৭০৭৫৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!