জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সবসময় আমাদের আশঙ্কা ছিল, নির্বাচনে নিয়ে এসে আমাদের কোরবানি করা হবে। কোরবানি করলে নির্ভেজাল একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করা হবে। এসব আশঙ্কা সত্যি হয় কিনা সেটা বোঝা যাবে। রোববার রংপুরে নিজ সংসদীয় আসনের শিশু মঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ আশঙ্কার কথা জানান তিনি। জাতীয় পার্টির শঙ্কা যদি সত্যি হয় তাহলে দলের অবস্থান কী হবে-এমন প্রশ্নে জি.এম কাদের বলেন, সেটা যখন হবে তখন বলবো। আগে থেকে কিছু বলতে চাই না। আমরা সার্বিক পরিস্থিতি দেখে দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তির জবাবে জিএম কাদের বলেন, এখন পর্যন্ত কিছু কিছু নমুনা দেখা যাচ্ছে। কারণ তাদের লোকবল বেশি। প্রশাসন তাদের সঙ্গে পরোক্ষভাবে আছে। অনেক জায়গায় বাধা দিচ্ছে না, চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। এরকম তারা করে যাচ্ছে। যতদূর খবর পেয়েছি এতে আমরা উদ্বিগ্ন। জি.এম কাদের আরও বলেন, জামালপুর-কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জায়গায় আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। যে পুরোনো কায়দায় আওয়ামীলীগ ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে, এবারও সেটাই করা হচ্ছে। যদিও বারবার আশস্ত করা হয়েছিল যে, এমন কোনো ঘটনা ঘটবে না। রংপুর-৩ (সদর উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নং ওয়ার্ড) আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের দলীয় প্রতীক ‘লাঙ্গল’, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আব্দুর রহমান রেজু ‘একতারা’, বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক ‘ডাব’, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সহিদুল ইসলাম ‘মশাল’, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম ‘আম’ এবং তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী ‘ঈগল’ প্রতীকে লড়ছেন। এই আসন থেকে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী তুষার কান্তি মন্ডলকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। ভোটযুদ্ধে এ আসনে জিএম কাদেরসহ ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৪ জন ও পুরুষ ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭২ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন।