চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১১টায় ১৯ টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। সকল পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত কেন্দ্রে সকাল দশটার পূর্বে প্রবেশপত্র সহ উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। প্রবেশপত্রের ছবির সাথে মিল পরীক্ষা করে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। পরীক্ষার্থীর ছবি এবং স্বাক্ষরে গরমিল পাওয়া গেলে তৎক্ষণাৎ তিনি বিচারের আওতায় আনা হবে। পরীক্ষার্থীদের গেটে প্রবেশের সময় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে দেহ তল্লাশি করা হবে। সেই সাথে পরীক্ষাকেন্দ্রের চারপাশে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তৎপর থাকবে। ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা যেসব জায়গায় কার্যকরী থাকবে, সেখানে পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করলে, তাকে তাৎক্ষণিক আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হবে। পরীক্ষা সুষ্ঠু-সুন্দর ভাবে সম্পাদন করতে জেলা প্রশাসন সর্বত্র তৎপর থাকবে। ২০ এপ্রিল বুধবার রাত ১০ টার দিকে জেলা প্রশাসন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফেসবুক ওয়ালে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান। জেলা প্রশাসনের এক প্রেসনোটে জানানো হয়, প্রবেশপত্র ব্যতিরেকে কোন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না। পরীক্ষার্থীগণকে পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোন কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাত ঘড়ি, বা ঘড়ি জাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক্স হাত ঘড়ি বা যে কোন ধরণের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ইত্যাদি সঙ্গে রাখতে দেয়া যাবে না। যদি কোন পরীক্ষার্থী উল্লিখিত দ্রব্যাদি সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে তাকে তাৎক্ষণিক বহিস্কার করাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহৃত টয়লেটে উল্লিখিত দ্রব্যাদি যাতে না থাকে, সে বিষয়েও অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। কেন্দ্রে প্রবেশ থেকে পরীক্ষার শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার্থীকে উভয় কান উন্মুক্ত রাখতে হবে। প্রবেশেপত্রে শর্তটি সংযোজিত আছে। লিখিত পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১ ঘন্টা পূর্বে প্রার্থীকে আসন গ্রহণ করতে হবে এবং পরীক্ষা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না। পরীক্ষার্থী অবশ্যই তার নির্ধারিত আসনে বসবেন। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিটি পূর্বে সর্তকীকরণ ঘন্টা বাজানো হবে এবং একই সাথে পরীক্ষা কেন্দ্রের সকল প্রবেশ পথ বন্ধ করে তালাবদ্ধ করা হবে। এরপর কোন প্রার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বা কেন্দ্র হতে বের হতে দেয়া হবে না। এ সময়ের পর ম্যাজিস্ট্রেট ব্যতীত কাউকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বা বের হতে দেয়া হবে না।