1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের মুক্তিযুদ্ধের গল্প - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নিহত ও আহত ছাত্র-জনতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা- আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে শেখ হাসিনাসহ গুম-খুনের সাথে জড়িতদের বিচার করা হবে-হারুনুর রশীদ সীমান্তে হত্যা নিষ্ঠুরতা ॥ এটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন–প্রধান উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে অর্থ পাঠালো চাঁপাইনবাবগঞ্জ মার্কেট সমন্বয় কমিটি নাটোরে সাবেক ডিসি, এসপি ও এমপিসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন নওগাঁয় প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের গাছের চারা রোপন বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কায় নিহত ৩ ॥ আগত ১০ রামেবি’র নার্সিং শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ॥ ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী অবাঞ্ছিত পোরশায় বিজিবি’র মতবিনিময় সভা নিয়ামতপুরে পারিবারিক জেরে বসতবাড়ী দখলের অভিযোগ ফেনীতে বন্যা পরবর্তী ডায়রিয়াসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব

বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের মুক্তিযুদ্ধের গল্প

বি.এম রুবেল আহমেদ
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৪৮ বার পঠিত

বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের মুক্তিযুদ্ধের গল্প

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদ্য সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুল হকের মুক্তিযুদ্ধের গল্পটা বেশ বেদনাবিধুর। মোঃ নুরুল হকের বাড়ি উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের পোলাডাংগা গ্রামে। বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের ভাষ্যমতে ২৫ শে মার্চ কালোরাতে যখন শুনতে পায় যে, যুবকদের ধরে নিয়ে গিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা গুলি করে মেরে ফেলছে, তখন আমাদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার হয় ঠিক তখন আমরা দিশেহারা হয়ে পড়ি। রাত শেষে সকাল হলে আমার সাথে শাহজাহান, কোরবান, সাত্তারসহ বেশ কয়েকজন মিলে আমরা নৌকা যোগে যুদ্ধের প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের মালদহতে চলে যায়। তৎকালীন এমপি খালেদের প্রত্যায়ন নিয়ে আমরা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয় এবং অন্যানের সাথে মিলিত হয়ে ট্রেনিং শুরু করি। সকাল-বিকাল শুধু লেফট রাইট করি। অনেক সময় আমরা অনাহারে অধহারে দিন কাটে। তখন একদিন পরে বাচ্চু ডাক্তার আর মন্টু ডাক্তার ছুটে এলো। তাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা চলে গেলাম নতুন গৌড় ক্যাম্পে। সেখানে দীর্ঘ একমাস মত প্রশিক্ষণ নিয়ে ৩০৩ রাইফেল সহ এলএমজি ও মেশিনগান সহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে ৩ নং সাব সেক্টরের অধীনে এবং ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের তত্ত্বাবধানে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ি। তারপর ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের সঙ্গে শিবগঞ্জ উপজেলার ধোবড়া, কলাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধে অংশ নেয়। বেশ কিছুদিন পরে আমরা ৮/১০ জন আবার ভোলাহাট উপজেলায় চলে আসি। এখানে এসে দলদলী ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় এবং গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সাহাপুর-কালুপুর এলাকায় যুদ্ধ করি। একদিন রাতে আমরা বেশ কয়েকজন ভেজা কাপড়ে সারারাত কাটাতে হয়েছিল। যেটা ছিল সবথেকে কষ্টের রাত। একদিন একটা লাশের খোঁজ দিতে না পাড়ায় আমাদের নংগুরে খাবার বন্ধ করে দিয়েছিল। এরকম হাজারো হৃদয়বিদারক ঘটনা আছে যুদ্ধকালীন সময়ে। এই যুদ্ধে টাইগার পার্টিতে সানাউল্লাহ স্যারের সাথে দেখা হয়। পরে স্যারকে বললাম আমাকে আটলারিতে নিয়ে নেন। পরে আমাকে সহ কয়েকজনকে আটলারিতে নিয়ে নেন। যুদ্ধে বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমি আটলারিতেই ছিলাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!