নদী ও চর বেষ্টিত গাইবান্ধায় ঘনকুয়াশা আর কনকনে হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীতের প্রকপ। কনকনে ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পরেছে জন জীবন। জ্জ দিন পর পর কখন কখন দুপুরের পর মিলছে সূর্যের দেখা। আবার বিকেল থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পরছে রাস্তা-ঘাট। প্রচন্ড শীতের কষ্টে চরম বিপাকে পরেছে কৃষক ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষেরা। গাইবান্ধায় ঘনকুয়াশায় বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছেনা এতে বেরেছে শীতের প্রকোপ। জেলার ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তিস্তা, ব্রহ্মপ্্ুত্র-যমুনা ও করতোয়া নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চল গুলোতে কনকনে ঠান্ডা বাতাস প্রচন্ড ভাবে শীতের প্রকোপ বাড়িয়ে দিয়েছে। শীতে জনজীবন যেন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হাঁড় কাপানো ঠান্ডায় কষ্টে পড়েছে আসহয় ছিন্নমুল মানুষ। আর কাজ করতে না পাড়ায় চরম বিপাকে পরেছে ক্ষুদ্র কৃষক ও শ্রমজীবিরা মানুষেরাও। প্রচন্ড শীতে গরম কাপড়ের অভাবে নিদারুন কষ্টে পড়া দুঃস্থ মানুষেরা জানান তাদের দুর্ভোগের কথা। শীতে জুবুজুবু স্থবির হয়ে পড়া জনজীবনে কাজে যোগ দিতে না পাড়ায় বিপাকে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবিরা মানুষেরাও। শীতে কনকনে ঠান্ডা পাড়ায় পুরাতন কাপড় ও লেপতোষকের দোকানে ভীর বাড়ছে। বেড়ে গেছে গেছে গরম কাপড় তৈরী উপকরন এবং মজুরির দাম। গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জাহেদ জিতি জানান, শীত বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে শীত জনিত রোগও তাই হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন শীত জনিত রোগে আক্রান্ত চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর বেশীর ভাগ শিশু ও বৃদ্ধ। তবে শীত জনিত রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে চিকিৎসকরা উষ্ণ কাপড় পড়াসহ রোগীদের নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল লতিফ প্রধান বলেন, শীত নিবারনে নিম্ন আয়ের দুঃস্থ অসহয় মানুষদের সরকারি-বেসরকারি ভাবে কম্বলসহ শীত বস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের আহবান জানান তিনি।