চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে আড়াই বছর আগে। প্রশাসনিক অনুমোদনের পর নামকরণ করা হয় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ তলা আধুনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। জনবল বেড়েছে, স্থাপন করা হয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিও। কিন্তু বাড়েনি রোগীদের খাবার বরাদ্দের পরিমান। ১০০ শয্যা হাসপাতালের বরাদ্দই চলছে আজ অবদি। শুধু আশ^াস দেয়া হচ্ছে, কিন্তু ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের রোগীদের খাবার বরাদ্দ হচ্ছে না। তবে, সকল বাধা বা জটিলতা দূর করে ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের রোগীদের জন্য ২৫০ জন রোগীর খাবার বরাদ্দ দেয়ার দাবী ভূক্তভোগী ও জেলাবাসীর। হাসপাতালটির তথ্য মতে, প্রতিদিন নির্ধারিত শয্যার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি থাকে। ২৫০ শয্যার প্রশাসনিক অনুমোদনের পর চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয়সহ সব বিভাগে উন্নতি হলেও খাবার বরাদ্দ বাড়েনি। প্রতিদিন হাসপাতালে ২৫০ জনের বেশি রোগী ভর্তি থাকলেও খাবার পান মাত্র ১০০ জন। রোগী প্রতি তিন বেলায় খাবার দেয়া হয় ১৭৫ টাকা মূল্যের। এ হাসপাতালে ভর্তি থাকা ১০০ জনেরও বেশি রোগী খাবার পান না। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। জানা গেছে, গত বছরের ১৩ই সেপ্টেম্বর ১০০ শয্যা আধুনিক সদর হাসপাতাল চাঁপাই নবাবগঞ্জের কোড পরিবর্তন করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কোড ব্যবহার এবং ২৫০ শয্যার রোগীর পথ্য প্রশাসনিক অনুমোদনের অনুমতি চেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু এখনো রোগীর খাদ্য সরবরাহের প্রশাসনিক অনুমোদন মেলেনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে ৫০ শয্যায় রূপান্তরিত হয় চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতাল। জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে হাসপাতালটি ২০০৩ সালে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত হয়। সেই থেকে ১০০ শয্যা আধুনিক সদর হাসপাতাল, চাঁপাই নবাবগঞ্জে কোড নং-১২৭০২১১ ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ২০২০ সালের ৩১শে অক্টোবর হাসপাতালটি ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নতি করেন। সেবা চালু করার প্রশাসনিক অনুমোদনও দেয়া হয়। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল, চাঁপাই নবাবগঞ্জে রাজস্বখাতে স্থায়ীভাবে পদ সৃজনে মঞ্জুরি হয়। কিন্তু হাসপাতালে ১০০ জন রোগীর দৈনিক পথ্য সরবরাহ করা হয়। এখনো ২৫০ শয্যার রোগীর পথ্য সরবরাহের প্রশাসনিক অনুমোদন মেলেনি। হাসপাতালটিতে খাবার সরবরাহকারী মো. আব্দুল জলিল বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরেও হাসপাতালে ১০০ জনের খবার সরবরাহের টেন্ডার হয়। দরপত্রের চাহিদা অনুযায়ী ১০০ জনের খাবার সরবরাহ করি। গত বছরের ১৫ই ডিসেম্বর থেকে তিনি খাবার সরবরাহ করছেন। এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ বলেন, হাসপাতালের অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ইতিমধ্যে প্রায়ই নিশ্চিত করা হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই খাদ্য সরবরাহে প্রশাসনিক অনুমোদন মিলবে এবং এ সমস্যার সমাধানও হয়ে যাবে।