নাটোরে জোর করে টাকা আদায়ের দাবিতে থানায় আটকে মারপিটের অভিযোগে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি, দুই এস.আই সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক যুবক। মঙ্গলবার দুপুরে বাগাতিপাড়া আমলি আদালতে মামলাটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাজু আহমেদ। মামলার বাদী মো. নিজাম উদ্দিন (৩৩) বাগাতিপাড়া উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামের প্রয়াত আবুল কালামের ছেলে। বছরের নিজাম পেশায় একজন কাঠ ব্যবসায়ী। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম, দুই উপ-পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম ও মো. শাকিল আহমেদ, সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. আবদুল করিমের স্ত্রী অঞ্জনা বেগম ও তার বাসার তত্ত্বাবধায়ক মো. আবুল বাসার। বেঞ্চ সহকারী রাজু জানান, আদালতের বিচারক মামলার আবেদনটি গ্রহণ করে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশ সুপার, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টেগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৮ মে মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগে বলা হয়, অঞ্জনা বেগমের কাছ থেকে দুটি পাওয়ার টিলার ভাড়া নিয়েছিলেন নিজাম উদ্দিন। কিন্তু বাহন দুটির বৈধ কাগজপত্র না থাকায় এক বছর পর সেগুলো অঞ্জনাকে ফেরত দেন তিনি। এ সময় ভাড়ার বাকি থাকা ১৫ হাজার টাকা পরে পরিশোধ করবেন জানিয়েছিলেন নিজাম। কিন্তু থানায় ডেকে মারপিট ও জেলহাজতের ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা দাবি করেন আসামিরা। পরে গত ২২ ফেব্রুয়ারি অঞ্জনা বেগমের পক্ষে বাগাতিপাড়া থানার ওসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তা নিজামকে থানায় ডেকে নিয়ে আটকে রাখেন। সেখানে মারধর করে তাকে দিয়ে তিনটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে মর্মে জোর সই করিয়ে নেন। এরপর টাকা না দিতে পারায় তারা ২৫ ও ২৭ মার্চ নিজাম উদ্দিনকে আবার আটক করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে। মামলায় বাদীর আইনজীবী মসলেম উদ্দিন জানান, আসামিদের জুলুমের শিকার হয়ে তার মক্কেল মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন। তবে এ অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেছেন বাগাতিপাড়া থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, নিজাম উদ্দিন অঞ্জনা বেগমের গাড়ি এক বছর চালিয়ে টাকা পয়সা দেয়নি। পরে আমি বললে গাড়ি ফেরত দেয়, কিন্তু টাকা পয়সা দিছে নাকি আমি জানি না। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, এই অভিযোগ সঠিক না। বিষয়টি তদন্ত হওয়া দরকার।