চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে একটি বাগানের প্রায় দশটি আমগাছ কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের পারচৌকা রাঘববাটি পুঠিমারী বিলে এ ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চৌকা পাতিয়া বিলের চৌকা মৌজায় আশি^না ও খিরসাপাত জাতের দশটি গাছ কেটে মাটিতে পড়ে আছে। ঝরে গেছে আমগুলো। এছাড়া ছোট ছোট পাট গাছগুলো নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে প্রতিপক্ষরা দাবি ভুক্তভোগী নারীর।
ভুক্তভোগী নারী সেরিনা বেগম (৫৩) উপজেলার দূর্লভপুর ইউনিয়নের পিয়ালীমারী গ্রামের হারুন অর রশিদের স্ত্রী। তিনি জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে প্রতিপক্ষ পারচৌকা গ্রামের মৃত রফিকের ছেলে আবদুল মালেক, মৃত নুর ইসলাম পারুলের ছেলে নাজমুল ও পারভেজের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। গত তিন বছর থেকে তারা বিভিন্নভাবে হয়রানী ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার কোন এক সময় তারা জমির আশি^না ও খিরসাপাত আমগাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থাকতেই পারে। কিন্তু আমগাছ কর্তনের বিষয়টি মেনে নেয়া যায়না। এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে গাছ কর্তনের ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এর আগে শনিবার জমিতে হালচাষে প্রতিপক্ষরা বাঁধা দেওয়ায় থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন ভুক্তভোগী সেরিনা বেগম। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ আবদুল মালেক ও নাজমুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি। শিবগঞ্জ থানার এস.আই হরেন্দ্র নাথ জানান, জমিতে হালচাষে বাঁধা দেওয়ার ঘটনাটি তদন্ত চলছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ জানান, আমগাছ কর্তনের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।