1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিলুপ্তির পথে ঢেঁকি শিল্প ॥ হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের নিদর্শন - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে উপজেলা প্রশাসন-জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষকদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদী থেকে ভাসমান মরদেহ উদ্ধার আমরা সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ভাঙার জন্য কাজ করে যাচ্ছি : আসিফ নাচোলে বিদেশ ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণ শীর্ষক কর্মশালা স্বামীর খোঁজে নাটোর এসে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু পোরশায় বিএনপি’র সভাপতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা নাচোলে শিশুকন্যা ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে বৃদ্ধ আটক। গোমস্তাপুরে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ইউএনওর মতবিনিময় গোমস্তাপুরে ব্যাংক কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিলুপ্তির পথে ঢেঁকি শিল্প ॥ হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের নিদর্শন

মুঃ শফিকুল ইসলাম (নিজস্ব প্রতিনিধি)
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৮ মে, ২০২৩
  • ১৫৫ বার পঠিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিলুপ্তির পথে ঢেঁকি শিল্প ॥ হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের নিদর্শন

 “বউ ধান ভানে রে, ঢেঁকিতে পাড় দিয়া” ঢেঁকির পাড়ে পল্লিবধূদের এমন গান এক সময় বাংলার গ্রামীণ জনপদে সবার মুখে মুখে থাকত। ধান থেকে চাল, তা থেকে আবার আটা। এক সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গ্রামের প্রায় প্রতিটি পরিবারের চাল আর আটা প্রস্তুতের একমাত্র মাধ্যম ছিল ঢেঁকি। গভীর রাত থেকে ভোর সকাল পর্যন্ত বধূরা ঢেঁকিতে চাল ভাঙতো। বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় আবহমান বাংলার ঢেঁকি তেমন একটা চোখে পড়ে না। এখন ঢেঁকির সেই ধুপধাপ শব্দ বর্তমান প্রজন্মের কাছে যেন স্বপ্নময় স্মৃতি। আর নতুন প্রজন্মের কাছে ঢেঁকি শব্দটি শুধু অতীতের গল্প মাত্র। বাস্তবে এর দেখা মেলা ভার। জেলার দু-এক জায়গায় থাকলেও ব্যবহার তেমন একটা নেই। আশির দশক থেকে ক্রমে বিলুপ্তির পথে ঢেঁকি। ঢেঁকিতে তৈরি করা আটা দিয়ে ঘরে ঘরে প্রস্তুত হতো পুলি, ভাপা, পাটিসাপটা, তেলে ভাজা, চিতইসহ নানা ধরনের বাহারি পিঠা-পুলি। পিঠার গন্ধ ছড়িয়ে পড়ত এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে। আগে অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে কৃষক ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে গৃহস্থ ও কৃষাণিদের ঘরে ঘরে ধানের নতুন চাল ভাঙা বা চাল গুঁড়া করা, আর সে চাল দিয়ে পিঠা, পুলি, ফিরনি, পায়েস তৈরি করার ধুম পড়ে যেত বাড়ি বাড়ি। বাতাসে ভেসে বেড়াত পিঠার সুঘ্রাণ। এখন ঢেঁকির সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যেতে বসেছে নবান্নের উৎসবও। আধুনিকতার উৎকর্ষের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার এক সময়ের কৃষাণ কৃষাণিদের ভালো মানের চাল তৈরির প্রধান মাধ্যম ঢেঁকি। এখন পুরোপুরি যান্ত্রিক ঢেউ লেগেছে গ্রামগঞ্জে। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে ঢেঁকির ছন্দময় শব্দ। গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় এক সময় ঢেঁকি দিয়ে চাল তৈরি, চিড়া ভাঙা, আটা, পায়েসের চালের গুঁড়ো, খির তৈরির চাল বানানোর সেই ঢেঁকি-আজ অসহায় হয়ে পড়েছে ইঞ্জিনচালিত মেশিনের কাছে। ধান ভানা, চাল গুঁড়ো করা, বড়ি তৈরি করা, আটা তৈরি চালের গুঁড়াসহ ঢেঁকির যাবতীয় কাজ এখন করছে ইঞ্জিনচালিত মেশিনে। ঢেকি ছাটা চাল বা অন্যান্য পণ্যের স্বাদই আলাদা। ইঞ্জিনচালিত মেশিনে এসব উৎপাদন করায় খাবার খাচ্ছি আমরা ঠিকই, কিন্তু আগের সেই স্বাদ নেই খাবারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2024 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!