1. tohidulstar@gmail.com : sobuj ali : sobuj ali
  2. ronju@chapaidarpon.com : Md Ronju : Md Ronju
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিলুপ্তির পথে ঢেঁকি শিল্প ॥ হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের নিদর্শন - দৈনিক চাঁপাই দর্পণ
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০৬:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বারঘরিয়ার ভ্রাম্যমাণ বাজারের ৭০ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর মানবেতর জীবনযাপন শিবগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে দোকান ভাংচুর-লুটের অভিযোগ র‌্যাবের হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার শিবগঞ্জে সাত মাসে হাফেজা হওয়া হামিদাকে সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট প্রদান পোরশায় শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে উপজেলা চেয়ারম্যানের পোশাক বিতরণ গোমস্তাপুরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালন কবি মাইদুল ইসলাম মুক্তার আর নেই-বিভিন্ন মহলের শোক ভোলাহাটে একটি বিদ্যালয়ের কমিটি অনুমোদনের আগেই সদস্যদের পদত্যাগ ভোলাহাটে একটি বিদ্যালয়ের কমিটি অনুমোদনের আগেই সদস্যদের পদত্যাগ নার্সদের ৫ দফা দাবিতে উত্তাল রাজশাহী

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিলুপ্তির পথে ঢেঁকি শিল্প ॥ হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের নিদর্শন

মুঃ শফিকুল ইসলাম (নিজস্ব প্রতিনিধি)
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৮ মে, ২০২৩
  • ৫৬ বার পঠিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিলুপ্তির পথে ঢেঁকি শিল্প ॥ হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের নিদর্শন

 “বউ ধান ভানে রে, ঢেঁকিতে পাড় দিয়া” ঢেঁকির পাড়ে পল্লিবধূদের এমন গান এক সময় বাংলার গ্রামীণ জনপদে সবার মুখে মুখে থাকত। ধান থেকে চাল, তা থেকে আবার আটা। এক সময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গ্রামের প্রায় প্রতিটি পরিবারের চাল আর আটা প্রস্তুতের একমাত্র মাধ্যম ছিল ঢেঁকি। গভীর রাত থেকে ভোর সকাল পর্যন্ত বধূরা ঢেঁকিতে চাল ভাঙতো। বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় আবহমান বাংলার ঢেঁকি তেমন একটা চোখে পড়ে না। এখন ঢেঁকির সেই ধুপধাপ শব্দ বর্তমান প্রজন্মের কাছে যেন স্বপ্নময় স্মৃতি। আর নতুন প্রজন্মের কাছে ঢেঁকি শব্দটি শুধু অতীতের গল্প মাত্র। বাস্তবে এর দেখা মেলা ভার। জেলার দু-এক জায়গায় থাকলেও ব্যবহার তেমন একটা নেই। আশির দশক থেকে ক্রমে বিলুপ্তির পথে ঢেঁকি। ঢেঁকিতে তৈরি করা আটা দিয়ে ঘরে ঘরে প্রস্তুত হতো পুলি, ভাপা, পাটিসাপটা, তেলে ভাজা, চিতইসহ নানা ধরনের বাহারি পিঠা-পুলি। পিঠার গন্ধ ছড়িয়ে পড়ত এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে। আগে অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে কৃষক ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে গৃহস্থ ও কৃষাণিদের ঘরে ঘরে ধানের নতুন চাল ভাঙা বা চাল গুঁড়া করা, আর সে চাল দিয়ে পিঠা, পুলি, ফিরনি, পায়েস তৈরি করার ধুম পড়ে যেত বাড়ি বাড়ি। বাতাসে ভেসে বেড়াত পিঠার সুঘ্রাণ। এখন ঢেঁকির সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যেতে বসেছে নবান্নের উৎসবও। আধুনিকতার উৎকর্ষের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার এক সময়ের কৃষাণ কৃষাণিদের ভালো মানের চাল তৈরির প্রধান মাধ্যম ঢেঁকি। এখন পুরোপুরি যান্ত্রিক ঢেউ লেগেছে গ্রামগঞ্জে। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে ঢেঁকির ছন্দময় শব্দ। গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় এক সময় ঢেঁকি দিয়ে চাল তৈরি, চিড়া ভাঙা, আটা, পায়েসের চালের গুঁড়ো, খির তৈরির চাল বানানোর সেই ঢেঁকি-আজ অসহায় হয়ে পড়েছে ইঞ্জিনচালিত মেশিনের কাছে। ধান ভানা, চাল গুঁড়ো করা, বড়ি তৈরি করা, আটা তৈরি চালের গুঁড়াসহ ঢেঁকির যাবতীয় কাজ এখন করছে ইঞ্জিনচালিত মেশিনে। ঢেকি ছাটা চাল বা অন্যান্য পণ্যের স্বাদই আলাদা। ইঞ্জিনচালিত মেশিনে এসব উৎপাদন করায় খাবার খাচ্ছি আমরা ঠিকই, কিন্তু আগের সেই স্বাদ নেই খাবারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
Copyright All rights reserved © 2022 Chapaidarpon.com
Theme Customized BY Sobuj Ali
error: Content is protected !!