মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কমরদি বাজারে বাবুল জুয়েলারীর দোকানে চুরির সাথে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে গাংনী থানা পুলিশ। শনিবার রাতে গাংনী থানার এসআই আশিকুর রহমান ও এসআই সোয়েবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের পৃথক দুটি টীম কুষ্টিয়া শহর ও মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকে তাদেরকে গাংনী থানার এস.আই আশিকুর রহমান ও এস.আই সোয়েবুর রহমান করে। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হওয়া সোনা ও রুপার গয়না। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, গাংনীর করমদি গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে সুলতান বাদশা (২২), মুজিবনগর উপজেলার বিদ্যাধরপুর গ্রামের নোমান হোসেন (২০) ও নান্টু মিয়া (৩০) এবং দায়িরপুর গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে ফজল হক (৪০)। গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক কে জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে করমদি বাজারের বাবুল জুয়েলার্সের টিনের ছাদ কেটে গয়নাগাটি চুরি হয়। পুলিশের অভিযানে চুরির মূলহোতা করমদি গ্রামের সুলতান বাদশাকে কুষ্টিয়া থেকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে মেহেরপুরের মুজিবনগরের দারিয়াপুর ও বিদ্যাধরপুর গ্রামের পৃথক চালিয়ে অপর তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে জুয়েলার্স থেকে চুরি হওয়া সোনার ২৪টি নাকফুল, গলানো সোনা ৩ রতি, রুপার বালা ৭ জোড়া, একটি চাঁদি মালা ও ৫ আনা ঝুমকা উদ্ধার করা হয়। ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত সুলতান বাদশা বছরখানেক আগে কুপিয়ে তার শ্বাশুড়ীকে হত্যা করে। ওই মামলায় জামিনে আছে সে। বাবুল জুয়েলার্সের গয়না চুরির পর তার পূর্ব পরিচিত বিদ্যাধরপুর গ্রামের নোমানের কাছে নিয়ে যায়। নোমানের মাধ্যমে দায়িরপুর বাজারের জুয়েলার্স ব্যবসায়ী নান্টু ও ফজলের কাছে বিক্রি করে সুলতান বাদশা। জুয়েলার্স মালিকের দায়ের করা মামলায় তাদেরকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা করা হয়েছে।