চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে সীমান্তে প্রায় ১ কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি, থ্রী পিচ শীতবস্ত্র উদ্ধার করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জস্থ রহনপুর ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সোনামসজিদ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ভেহিক্যাল স্কানার দিয়ে চোরাচালান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রহনপুর ব্যাটালিয়ন (৫৯ বিজিপি)র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল গোলাম কিবরিয়া নির্দেশনায় সোনামসজিদ বিওপির নায়েক মোঃ শাখাওয়াত হোসেন এর নেতৃত্বে একটি চৌকশ টহল দল বিওপির দ্বায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্তে পিলার ১৮৪/২-এস হতে আনুমানিক ৮০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের ভেহিক্যাল স্কানার রাস্তার উপর যানবহন তল্লাশী করে। এসময় বাংলাদেশী ১টি ট্রাক (যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-ট-২২-৬৩৮৩) বিজিবি ট্রাকটিকে থামানোর সংকেত দিলে চালক ট্রাক থামিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। বুধবার সকালে বিজিবি, ম্যাজিট্রেড, পুলিশ, কাস্টমস কর্মকর্তার সম্মুখে আটককৃত ট্রাকটি তল্লাশী করে, ২০০ বস্তা চায়না ক্লে পাওডার এর নিচে ভারতীয় ২৭০ পিস শাড়ি, ৯১০ পিস থ্রিপিস এবং ১৭০০ পিচ শাল চাদর (শীতবস্ত্র) পাওয়া যায়। উক্ত ট্রাকের আমদানীকারক মুকুল ট্রেডার্স যার প্রোঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম। বুধবার বিকেলে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে রহনপুর ব্যাটালিয়ন (৫৯ বিজিবি)র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং আটককৃত মালামাল চাঁপাইনবাবগঞ্জ কাস্টমে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানান। জানা গেছে, চায়না ক্লে বলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের ছাড়পত্র নিয়ে বাংলাদেশে আসে পন্যগুলো। স্থলবন্দর থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার পর সড়কে ট্রাকটি আটকায় ৫৯ বিজিবি। এরপর তল্লাসী করে ট্রাক মালামালগুলো উদ্ধার করা হয়। বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, জব্দ হওয়া শাড়ি, থ্রি পিস ও চাদরের বাজারমূল্য এক কোটি টাকার বেশি। চায়না ক্লে বলে এগুলো কাস্টমসের ছাড়পত্র করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিক্তিতে জানা যায়, চায়না ছাড়াও সেই ট্রাকে অন্য পন্য থাকতে পারে। পরে অভিযান পরিচালনা করে ট্রাক তল্লাশি চালিয়ে এসব অবৈধ চোরাচালান করা ভারতীয় কাপড় জব্দ করা হয়। এবিষয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী জানান, অবৈধভাবে ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে এসব কাপড় আমদানি করায় বিষয়টি তদন্ত করে আমদানিকারক মেসার্স মুকুল ট্রেডার্সের মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও এর সাথে যারা সম্পৃক্ত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থ নেবে বন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।