দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-১ আসনে (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) ভোটে লড়ছেন চার প্রার্থী। আওয়ামীলীগ থেকে তিনজন ও জাতীয় পার্টি থেকে একজন। এবার সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ বিভক্ত হয়ে পড়েছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও চন্দননগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান (তোতা) ও দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী পোরশা উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাজেদ আলী ঈগল প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন। তবে, এ আসনে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের আকবর আলী থাকলেও আসনটিতে দলীয় ভীত না থাকায় তিনি তেমন সুবিধা করতে পারবেন না বলে এলাকার সচেতন ভোটাররা মনে করছেন। এখন চার প্রার্থীই ভোটে জয় নিয়ে আশাবাদী। নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে চলছে একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, যা এরই মধ্যে নির্বাচনীয় মাঠে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের অনুসারীদের সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। ১৭ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে এ আসনের চার প্রার্থী ও তাঁদের কর্মীরা ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার প্রতিটি পাড়া মহল্লা ও রাস্তা ঘাট নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতীকের পোস্টারে এলাকা ছেয়ে গিয়েছে। তবে কিছু এলাকায় জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের পোস্টার দেখা মিললেও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের কোন ব্যানার পোস্টারের দেখা মিলে নি। নৌকার প্রার্থী খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, গত ১৫ বছরে এ নির্বাচনী এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন, রাস্তাঘাট নির্মাণ-সংস্কার ও পাকাকরণ, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, স্যানিটেশনসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী গণসংযোগকালে ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি মহাজোট সরকারের সাফল্য অর্জন, উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে নৌকায় ভোট চান। স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেকুজ্জামান বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে আছি। ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এবার আমাকেই জয়ী করবে বলে আমি আশাবাদী। নওগাঁ-১ আসনে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ৭১ টি। নির্বাচন সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্তে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্র হবে ৭৫ টি। নওগাঁ-১ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ০৮ হাজার ৩৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা – ১ লাখ ০২ হাজার ৫৮৬ জন মহিলা ভোটারের সংখ্যা – ১ লাখ ০৫ হাজার ৭৫২ জন।