পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া নৌরুটে বাল্ক হেডের ধাক্কায় ৯ যানবাহন নিয়ে একটি ফেরি ডুবে গেছে। ফেরি উদ্ধারে পাটুরিয়া ঘাটে কাজ করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা। ফেরি ডুবির দুই ঘন্টার মধ্যে ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা এরইমধ্যে ডুবে যাওয়া দুটি ট্রাক টেনে তুলেছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আলম।
ফেরিটির ভেতরে পানি ঢুকে এটির ওজন হাজার টনের বেশি দাঁড়িয়েছে বলে ধারণা করা যায়। কিন্তু হামজার সক্ষমতা মাত্র ৬০ টন। হামজাকে দিয়ে কিভাবে ফেরিটিকে উদ্ধার করা যাবে সে বিষয়ে কর্মকর্তারা আলোচনা করছেন। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালের দুর্ঘটনার পর মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে যথারীতি ডাক পড়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জাহাজ হামজার। ফেরি দুর্ঘটনার পর আশেপাশের সংস্থাগুলোর উদ্ধার সরঞ্জাম দিয়ে এবারও কাজ হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিবার নৌ দুর্ঘটনার পর যে চিত্র দেখা যায়, এবারও এর ব্যতিক্রম দেখা যায়নি। সরকারি সংস্থাগুলোর কাছে থাকা উদ্ধারকারী সরঞ্জামগুলো কাজ করেনি।
নৌ দুর্ঘটনার পর জাহাজ উদ্ধারে বেশির ভাগ সময় দায়িত্ব পড়ে বিআইডব্লিউটিএ এর ওপর। কিন্তু সংস্থাটির উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ও হামজার ধারণক্ষমতা খুবই কম। এবারও দ্রুতই ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করেছে হামজা। ডুবে থাকা ট্রাকগুলোকে শনাক্ত করা গেছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ট্রাকগুলোতে দড়ি বাঁধার কাজ চলছে। এর মধ্যে দুটি ট্রাক টেনে তোলা হয়েছে হামজাকে দিয়ে। তবে এখন পর্যন্ত হতাহত বা নিখোঁজের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত কেউ নিখোঁজ আছেন বলে জানা যায়নি। ফেরির ভেতরে থাকা যানবাহনগুলোতে তল্লাশি এখনও চলছে। এর আগে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে মাঝ নদীতে নোঙর করে রাখা রজনীগন্ধা নামের ছোট একটি ফেরি ডুবির ঘটনা ঘটে।
ফেরি দুর্ঘটনার বিষয়ে সবশেষ আপডেটে বলা হয়েছে, ফেরিটিতে ৭টি ছোট ট্রাক ও ২টি বড় ট্রাক ছিল। দীর্ঘসময় ফেরি উল্টে গিয়ে এর বেশকিছু অংশ পানির ওপরে ভাসমান ছিল। ফায়ার সার্ভিস সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। ফেরির সেকেন্ড ড্রাইভার হুমায়ূন কবির (৩৯) নিখোঁজ রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস এর উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।